দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের সাথে সদর মহকুমা প্রশাসনের বৈঠক

আগরতলা, ৯ মে : ভারী বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ আসামের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মেঘালয়ের উপর দিয়ে বয়ে চলা জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত এর ফলে সমগ্র দক্ষিণ আসাম ত্রিপুরা মিজোরাম এবং মনিপুরের একাংশ বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। জ্বালানি তেল সহ নৃত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যোগানের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। 

বহিরাজ্যের সাথে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা ব্যাঘাত ঘটার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একাংশের অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি করে মুনাফা লুটার চেষ্টা করছে। এই ধরনের অব্যবস্থা দূরীকরণে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করলেন মহাকুমা শাসক মানিক লাল দাস। 

বৈঠক শেষে সদর মহকুমা শাসক জানান ,রাজ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এই অবস্থায় একাংশ ব্যবসায়ীদের এই ধরনের কার্যকলাপ কোন মতেই বরদাস্ত করা হবে না। 

গত ২৫ এপ্রিল আসামের দক্ষিণাঞ্চলের ডিমা হাসাও জেলায় একটি মাল গাড়ির খালি ওয়াগণ দুর্ঘটনায় পড়ে। এরপর থেকে সংশ্লিষ্ট রেলপথে স্বাভাবিক রেল চলাচল বিঘ্নিত হয়। এতে অসমের শিলচর ,করিমগঞ্জ এবং ত্রিপুরায় জ্বালানি সংকট দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৪ দিন ধরে গোটা রাজ্যে জ্বালানি সংকট অব্যাহত রয়েছে ।আর এই পরিস্থিতিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রির মূল্য বৃদ্ধি করে অধিক মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করে চলছে। এরই মধ্যে আলু এবং পেঁয়াজের মূল্য প্রতি কিলো ৩৫ টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই সংবাদ চাউর হতেই টনক নরে প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার সকালে সদর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন সদর মহকুমা শাসক।বৈঠকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মজুদ এবং পাইকারি ও খুচরা মূল্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে সদর মহকুমা শাসক ব্যবসায়ীদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ,নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি প্রশাসন কোনমতেই মেনে নেবে না। নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি রোধে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চান তিনি। ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশাসনকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ।এদিন বৈঠক শেষে সদর মহকুমা শাসক সাংবাদিকদের জানান ,নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রীর মূল্য যাচাইয়ে বাজার গুলিতে অতিসত্বর তল্লাশি চালানো হবে ।এর আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে ।বৈঠকে ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে সাহায্য করবেন বলে সম্মত হয়েছেন।এদিন মহকুমা শাসক জানান, রাজ্যের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী মজুদ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। বাজারগুলিতে পণ্য সামগ্রীর খুচরা মূল্য ও পাইকারি মূল্য যাচাইয়ে অতিসত্বর তল্লাশি চালানো হবে বলে জানান তিনি ।এক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান সদর মহকুমা শাসক মানিক লাল দাস।