Advertisement

Responsive Advertisement

ঊষা বাজারের ভিকি হত্যাকাণ্ডের আরো এক অভিযুক্তকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার

আগরতলা, ৬ মে : রাজধানীর ঊষা বাজারস্থিত ভারতরত্ন সংঘের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভীকি হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো ত্রিপুরা পুলিশ। ধৃত অভিযুক্তের নাম বীরচক্র ঘোষ। তাকে কলকাতার কৈখালি এলাকার একটি ফ্লাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার রাতে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আইনি প্রক্রিয়ার শেষে সোমবার তাকে আগরতলায় উড়িয়ে আনা হয়। এদিনই পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গত ৩০ এপ্রিল রাতে শালবাগান এলাকায় গুলি করে খুন করা হয় রাজধানীর উষাবাজার এলাকার ভারতরত্ন ক্লাবের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকিকে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত নেমে এখন পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে অল্পের জন্য এই হত্যাকান্ডের মূল অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযুক্তরা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় লুকিয়ে রয়েছে। কৈখালী এলাকায় ভারতরত্ন ক্লাবের একটি ফ্লাট বাড়ি রয়েছে। এই ফ্ল্যাটে উষা বাজার এলাকার মানুষ চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে কলকাতায় গেলে থাকেন। কলকাতার এই ফ্ল্যাটি এখন অপরাধচক্রের পান্থ নিবাস হিসেবে পরিগণিত হয়েছে বলেও গুঞ্জন। এই সংবাদ পাওয়ার পর গত শনিবার রাজ্য পুলিশের ৬ সদস্যের একটি দল কলকাতায় গিয়ে তদন্ত শুরু করে। রবিবার রাজ্য পুলিশের এডিশনাল ডিজি'র নেতৃত্বে আরো একটি তদন্তকারী দল কলকাতায় যায়। তারা কলকাতা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় তদন্তে নেমে রবিবার সন্ধ্যায় কৈখালীর সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট বাড়িটিতে হানা দেয়। জানা গেছে, এই সময় এই ফ্ল্যাটেই ছিল ভিকি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রাজু বর্মন। সে ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে পুলিশের দলকে দেখতে পেয়েই সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট থেকে অভিযুক্ত বীরচক্র ঘোষকে গ্রেফতার করে। সে রাজু বর্মন গোষ্ঠীর সহযোগী বলে জানা গেছে। আরো জানা গেছে ,এই কৈখালী এলাকার আশেপাশেই রয়েছে রাজ্যের জেল থেকে মুক্তি পাওয়া এক কুখ্যাত অপরাধী। এই অপরাধী রাজু বর্মন গুষ্টির গুরুদেব বলেও গুঞ্জন।
এদিকে জিবি হাসপাতাল থেকে আটক করা হয় সুস্মিতা সরকারের মা উমা সরকারকে। সোমবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ জিবি হাসপাতাল থেকে উমা সরকারকে আটক করেন। মহিলাকে জিবি হাসপাতাল থেকে পশ্চিম মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। সেখানে মহিলা পুলিশের উপস্থিতিতে মামলার তদন্তকারী পুলিশ দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। 
পুলিশ ধারাবাহিক ভাবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় এখন পর্যন্ত পুলিশ গুলি কাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার করতে পারেনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ