আগরতলা, ৪ এপ্রিল: রাজ্যে একটা সময় জাতি জনজাতির মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করে গেছে কমিউনিস্টরা। রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস ও অস্থির পরিস্থিতি তৈরির মাধ্যমে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। তাদের অপশাসনের দরুন অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে গিয়েছিল ত্রিপুরা।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে ১৩ প্রতাপগড় মণ্ডল আয়োজিত একটি বিশাল নির্বাচনী প্রচারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই সভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিরোধী শিবিরের ৬৭ পরিবারের প্রায় ২৫৫ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এনডিএকে সাথে নিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ৪০০টিরও অধিক আসন জয়লাভ করা এবং এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিজেপি নিরলসভাবে কাজ করছে। জনগণ উৎসাহের সাথে ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন করছে এবং সমাবেশে যোগদান করছে। রাজ্যের বাইরে থেকে এখানে আসা নেতারা ইতিমধ্যেই বলেছেন যে পূর্ব ত্রিপুরা ও পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমর্থন ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে যে আগামী ৪ জুন কি হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি মানুষের আস্থা আছে। আমরা যেখানেই যাই ব্যাপক মানুষের সমর্থন পাচ্ছি এবং মানুষ বুঝতে পারছে যে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই দেশকে রক্ষা করতে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের আগে দেশের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি দেশের সার্বিক উন্নয়নে ও দেশকে শক্তিশালী করতে কাজ শুরু করেন। তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্র ও রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিন সরকার নারীদের কল্যাণে কাজ করছে। সিপিএমের শাসনে তাদের অপশাসনের নিন্দা জানিয়ে ডাঃ সাহা বলেন, বিজেপি সবসময় সবার জন্য চিন্তা করে। সেই জায়গায় সিপিএম সবসময় বিভাজনের রাজনীতি করে গেছে। তারা জাতি ও জনজাতির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। ২০১৮ সালে বিজেপি যখন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আমরা এই রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করছি। শান্তি প্রতিষ্ঠাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সিপিএমের শাসনামলে বহু মানুষ খুন হয়েছেন। তারা রাজ্যের অপশাসনের জন্য দায়ী। আমরাই এই রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির বিভিন্ন স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব।
0 মন্তব্যসমূহ