Advertisement

Responsive Advertisement

সখি ওয়ান স্টপ সেন্টারের উত্তর জেলা সেন্টারের দ্বার উদ্ঘাটন সম্পন্ন হল

অয়ন নাগ, ধর্মনগর, ৬ মার্চ : বুধবার উত্তর জেলা সদর ধর্মনগরে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দ্বার উদঘাটন সম্পন্ন হল সখি ওয়ান স্টপ সেন্টারের। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একান্ত প্রয়াসে ভারতের প্রতিটি জেলাতে এমন একটি করে সখি ওয়ান স্টপ সেন্টারের উদ্বোধন হচ্ছে। এই সেন্টারের মুখ্য কাজ হচ্ছে যেসব মহিলারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতিত তারা পাঁচ দিন এই সেন্টারের ছাদের নিচে থাকতে পারবে এবং এই পাঁচ দিন তাদের শারীরিক ও স্বাস্থ্যের দিক দেখবে স্বাস্থ্য দপ্তর, আইনগত দিক দেখবে পুলিশ প্রশাসন এবং কাউন্সিলিংয়ের ব্যাপারটা দেখবে মহিলার কমিশন। অর্থাৎ একজন মহিলা একই ছাদের নিচে সব ধরনের সুবিধা পাবে সরকারি পক্ষ থেকে। তারপরও যদি সমস্যার সমাধান না হয় স্থায়ীভাবে কোন মহিলা থেকে যেতে চায় তাহলে সে আগরতলার সখী ওয়ান স্টপ সেন্টারে ভাই ভাবে থেকে যেতে পারবেন। এই দ্বার উদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উত্তর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, ধর্মনগর পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকার, উত্তর জেলা শাসক এবং সমাহর্তা দেবপ্রিয় বর্ধন সহ অন্যান্যরা। উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেন দেশের তথা রাজ্যের মহিলাদের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকার একের পর এক কাজ করে চলেছে। রাজ্যে ১৮ বছরের নিচে যাদের বাবা নেই বা বাবা চলে গেছে কিন্তু ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে আগ্রহী এমন ৪০০ ছাত্রছাত্রীকে 4000 টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা তাদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে কোন ধরনের অসুবিধা না হয়। ৬৪ জন ১৮ বছরের নিচে ছেলেমেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী 3 লক্ষ টাকা করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য। তাছাড়া মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে মায়েরা বোনেরা স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের এবং রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে তার জন্য নতুন নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করা হচ্ছে। ত্রিপুরা একমাত্র রাজ্য যেখানে সরকারি দল বন্টন এর ক্ষেত্রে মহিলাদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রাধান্য সহকারে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু উদ্বেগের ব্যাপার যে নাবালিকা বিবাহ এবং অপরিণত অবস্থায় গর্ভবতী হওয়া কোনমতেই আটকানো যাচ্ছে না। এগুলো আটকাতে শুধুমাত্র সরকারি সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানই যথেষ্ট নয়। রাজ্যের মানুষ যখন প্রকৃত সচেতন হবে তখনই এইসব প্রতিহত করা সম্ভব হবে। শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন করে নাবালিকা বিবাহ এবং অপরিণত অবস্থায় গর্ভবতী হওয়া আটকানো সম্ভব নয়। এই নাবালিকা বিবাহ এবং অপরিণত অবস্থায় গর্ভবতী একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক তেমনি সমাজের পক্ষেও একটা বিশেষ ক্ষতিকারক দিক বলে উল্লেখ করেন। তার জন্য সবাইকে সচেতন হয়ে সমাজকে বাঁচানোর অঙ্গীকার গ্রহণ করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় উপস্থিত অতিথিদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ