Advertisement

Responsive Advertisement

সৌর বিদ্যুৎকে কাজে লাগানোর জন্য রাজ্য সরকার দেশে নজির সৃষ্টি করেছে



আগরতলা, ৩ মার্চ : সৌর বিদ্যুৎকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের গ্রামীণ এবং পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রে তরফে তিনটি বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। রাজ্যে এখন সৌর বিদ্যুৎ কে কাজে লাগানোর এক যুগান্তকারী বিপ্লব চলছে। রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। 
 সারা বিশ্ব জোড়ে এখন প্রলিত শক্তি উপর নির্ভরশীলতা কমাতে পুননবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। বৈশ্বয়িক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ত্রিপুরা সরকারও পুননবীকরণযোগ্য শক্তিকে অধিক পরিমানে কাজে লাগাচ্ছে। ত্রিপুরা পুননবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন সংস্থা (ট্রেডা) ২০১৮-১৯ থেকে নভেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত  দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ লক্ষ স্টাডি ল্যাম্প বিতরণ করা হয়েছে। যার জন্য খরচ হয়েছে ১২.৪৭ কোটি টাকা। এর ফলে কেরোসিনের উপর নির্ভরতা হ্রাস পেয়েছে ও আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা রাত্রিতে বেশি সময় পড়াশুনা করতে পারছে। দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ হচ্ছে না। 
গ্রামীণ বাজার গুলিকে আলোকিত করার জন্য আলোকজ্যোতি প্রকল্প'র মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় ৯১১টি বাজারে ১১,৩৭৯টি সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এর জন্য খরচ হয়েছে ২২.৫৮ কোটি। এর সুবিধা হলো বিদ্যু বিল দিতে হচ্ছে না। 
সেই সঙ্গে রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের অন্তর্গত মোট ১,০৩৫টি গ্রামিন এলাকায় ২৮,৪০০টি সোলার স্ট্রিট লাইট বসানো হয়েছে। গ্রামের প্রত্যন্ত রাস্তা, জমায়েতের স্থান, হাসপাতালের মোটর স্ট্যান্ড, শ্মশান, ফ্র-স্যাটেলমেন্ট এলাকা ইত্যাদি স্থানে বসানো হয়েছে এগুলিকে। খরচ হয়েছে ৫৬.৮০ কোটি টাকা। 
রাজ্যে ২৬টি সোলার হাই মাস্ট স্থাপন করা হয়েছে। মোট খরচ হয়েছে ৭৮ লক্ষ টাকা।  প্রধানমন্ত্রী কুসুম স্কিমে কৃষি কাজে জলসেচের জন্য ২,১১৬টি সোলার পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে ২,১৬৬ জন কৃষক উপকৃত হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরনো ৫০ টি পাম্পকে সোলারাইজড করা হয়েছে  
এর জন্য মোট খরচ হয়েছে ৫২.৯০ কোটি টাকা।  এর ফলে ৪,৩৩২ একর জমি সেচের আওতায় এসেছে। রাজ্য সরকার জলের উৎস তৈরি করার জন্য সর্বোচ্চ ১.১৯ লক্ষ টাকা ভর্তুকি প্রদান করে।
পানীয় জলের সুবিধার জন্য ৫৭টি সোলার পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে ৫৭টি পাড়া পরিশ্রুত পানীয় জলের আওতায় এসেছে।  মোট খরচ হয়েছে ৩৫.৩৭ লক্ষ টাকা। 
এই সব কাজের জন্য ট্রেডা ভারত সরকারের কাছ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এগুলি হলো, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে রিনিউলেবল এনার্জি কর্মসূচি রূপায়নে সেরা সংস্থা পিএম কুসুম স্কিমে সর্বাধিক সোলার পাম্প স্থাপন। দ্বিতীয় সেরা সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানোর দক্ষতা। মোট সোলার পাওয়ার স্থাপন ১২.৮ মেগাওয়াট। উপরিউক্ত প্রকল্প রূপায়নে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে মোট ২০৫.৯১ কোটি টাকা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ