Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি এবং প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায় গুরুকা সম্মান অনুষ্ঠানের সূচনা

আগরতলা, ১৯ জানুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশিত দিশায় ঘরে ঘরে রোজগার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষা নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করা হচ্ছে। এজন্য দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যমশীলতা মন্ত্রক কাজ করছে। আজ আগরতলা টাউনহলে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায় রাজ্যে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি এবং প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায় গুরুকা সম্মান অনুষ্ঠানের সূচনা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যমশীলতা প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। উল্লেখ্য, রাজ্যে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা ৪.০-এর প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার ৪০০ জনকে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই কর্মসূচিতে আগামী ৩ বছরে রাজ্যের ৪৮ হাজার যুবক যুবতীকে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে অতিথিগণ ভার্চুয়ালি রাজ্যে দুটি বিশ্বকর্মা সেন্টারের উদ্বোধন করেন। পিএম বিশ্বকর্মা যোজনায় রাজ্যের ৫ জন বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত অভিজ্ঞ গুরুদের গুরুকা সম্মান প্রদান করা হয়। এছাড়া পিএম-জনমন যোজনার প্রথম পর্যায়ে গোমতী জেলার ১৭০ জন অতি পিছিয়ে পড়া জনজাতি অংশের প্রশিক্ষিত যুবক যুবতীদের মধ্যে ১০ জনকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে আজ রাজ্যে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইআইই-এর সাথে এনআইটি ও টিটিএএডিসি এবং এনআইইএলআইটি-এর সাথে এনআইটি আগরতলা ও টিআইটি আগরতলার মৌ স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যমশীলতা প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর আরও বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি পরিকাঠামো অনুন্নত হওয়ার কারণে বিগত দশকগুলিতে এই অঞ্চলের সেরকম উন্নয়ন পরিলক্ষিত হয়নি। কিন্তু ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দায়িত্বভার গ্রহণের পর দেশের এই অংশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান নতুন ভারতে রোজগারের প্রচুর সুযোগ রয়েছে এবং সেগুলিকে অর্জন করতে হলে অবশ্যই যুব সমাজকে পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নের প্রতি জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, গত অক্টোবর মাসে ডিলয়েট নামক একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সহযোগিতায় শুরু হওয়া হার্টল্যান্ড ত্রিপুরা কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে ৬৩ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে ৫০ জনকে এই কোম্পানিতে নিযুক্তিপত্র দেওয়া হবে। ত্রিপুরার মতো রাজ্যের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় পাওনা। আগামীদিনে আরও ৩৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে মাইক্রোসফট, ফ্লিপকার্ট এবং সিসকোর মতো আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছেন। যারা আগামীদিনে রাজ্যের যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষিত করার মাধ্যমে ঐ সকল সংস্থায় নিয়োগের ব্যবস্থা করবে। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আগামীদিনে ভারতবর্ষ বৈভবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে। রাজ্যে মেধার অভাব নেই। কিন্তু অবশ্যই তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিশায় রাজ্য সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়ণ করে চলেছে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন এনআইইএলআইটি-এর ডিরেক্টর জেনারেল ড. মদন মোহন ত্রিপাঠি সহ মাইক্রোসফট, ফ্লিপকার্ট, সিসকোর প্রতিনিধিগণ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব হীনা উসমান। আজকের এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে মন্ত্রকের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সম্বলিত কয়েকটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ