Advertisement

Responsive Advertisement

ত্রিপুরায় খুব দ্রুত চালু হচ্ছে চা ই-নিলাম কেন্দ্র

আগরতলা, ১৯ জানুয়ারি : খুব দ্রুত রাজ্যে চা এর ই - নিলাম কেন্দ্র চালু হবে। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান এডভোকেট সমীর রঞ্জন ঘোষ। তার সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মানিক লাল দাসও। 
এডভোকেট সমীর রঞ্জন ঘোষ জানান এই নিলাম কেন্দ্র চালু হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশ থেকে ক্রেতারা অনলাইনের মাধ্যমে নিলামে অংশ নিতে পারবেন। এর ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন রাজ্যের চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা।
তিনি আরো বলেন রাজ্যের চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল, চার নিলাম করার জন্য গাড়িতে করে গৌহাটি অথবা কলকাতা নিয়ে যেতে হতো। কিন্তু এখন রাজ্যে নিলাম কেন্দ্র হয়ে গেলে যে পরিমাণ চা বিক্রি হবে সেই পরিমাণ চা সহজেই বহি:রাজ্য অথবা বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
এই প্রক্রিয়া কেন্দ্র চালু করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহাকে ধন্যবাদ জানান। কারণ এই অনুমোদন পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। যার ফলস্বরূপ রাজ্যে একটি ই - নিলাম কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে। নীতি আয়োগের মাধ্যমে রাজ্যে চা নিলাম কেন্দ্র গড়ে তোলার সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান তিনি। এর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রীয় সরকারকেও নিগমের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
ভারতের মোট ছয়টি জায়গায় চা নিলাম কেন্দ্র রয়েছে। মধ্যে দুটি দক্ষিণ ভারতে, তিনটি পশ্চিমবঙ্গে এবং একটি আসামে। পাশাপাশি রাজ্যে প্রক্রিয়াজাত চা মজুদ করার জন্য বিশেষ গুদাম তৈরি করা হবে। রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী দুর্গাবাড়ি এলাকার চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রেএই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। দীর্ঘ বছরের ইতিহাস রয়েছে রাজ্যের চা শিল্পের। প্রায় ১০৮ বছরের পুরাতন রাজ্যের চা শিল্প, কিন্তু পূর্বতন সরকারের সময় দীর্ঘ বছর উপেক্ষিত ছিল এই শিল্প। ফলে এই শিল্পের বিকাশ ঘটেনি দীর্ঘ বছর। অবশেষে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে চা'র উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। 
 এই সরকার চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য লোগো ডিজাইন করেছে, চা শ্রমিকদেরজন্য জমির বন্দোবস্ত করেছে, রেশন দোকানের মাধ্যমে চা দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষদেরকে। শুধুমাত্র রেশন শপ এর মাধ্যমে গত বছর তিন লক্ষ কেজির বেশি চা বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানান। আগামী দিনের লক্ষ্য হচ্ছে চা'র উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা সেই সঙ্গে, গুণগত মান উন্নয়ন করা। সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান সারা দেশের মধ্যে রাজ্য চা উৎপাদনে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। দেশের মোট উৎপাদিত চার প্রায় ১০ শতাংশ এই রাজ্যে উৎপাদন হয়। চা শিল্পের সঙ্গে যাতে নতুন প্রজন্ম আরও বেশি করে যুক্ত হতে পারে তার জন্য বীর বিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চা উন্নয়ন নিগম একটি প্রফেশনাল কোর্স চালু করছে বলেও জানান তিনি এদিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ