Advertisement

Responsive Advertisement

ডিজে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার বন্ধে বিধানসভায় দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশ নিয়ে আলোচনা


আগরতলা, ৮ জানুয়ারি: ভারত সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের পরিবেশ সুরক্ষা আইন- ১৯৮৬-এর শব্দ দূষণ (প্রবিধান ও নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী) বিধিমালা, ২০০০ অনুযায়ী লাউড স্পিকার, পাবলিক এড্রেস সিস্টেম, শব্দবর্ধক যন্ত্র এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র রাত ১০টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত উন্মুক্তস্থানে ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র আবদ্ধ স্থান, প্রেক্ষাগৃহ, সভাকক্ষ এবং আপৎকালীন পরিস্থিতিতে রাত্রিকালীন সময়ে এসব যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে। আজ বিধানসভায় বিধায়ক সুশান্ত দেব দ্বারা আনীত দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের জবাবে একথা বলেন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী রতনলাল নাথ। দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশটি ছিল 'ভয়ংকর শব্দদূষণ ঠেকাতে রাজ্যে সমস্ত ধরনের অনুষ্ঠানে ডিজে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার জন্য জনস্বার্থে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা

সম্পর্কে'। এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী রতনলাল নাথ আরও বলেন, রাজ্যে লাউড স্পিকার ও পাবলিক এড্রেস সিস্টেম সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের লিখিত অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যায় না। রাজা সরকার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং বিশেষ উৎসবের দিনগুলিতে লাউড স্পিকার, পাবলিক এড্রেস সিস্টেম, শব্দবর্ধক যন্ত্র এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারের সময়সীমা রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বছরে ১৫ দিনের জন্য বর্ধিত করতে পারে। তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুসারে রাজ্য সরকার সমস্ত ধরনের সাউন্ড সিস্টেম, পাবলিক এড্রেস সিস্টেমের উপর সাউন্ড লিমিটারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এ উদ্দেশ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও সংশ্লিষ্ট অপারেটরদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শব্দ ও বায়ুদূষণ রোধে দীপাবলি ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে শব্দবাজি ব্যবহার রাজ্যে নিষিদ্ধ রয়েছে। তিনি আরও জানান, মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকার সম্প্রতি এই ধরনের লাউড স্পিকার, পাবলিক এড্রেস সিস্টেম, শব্দবর্ধক যন্ত্র এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে নির্দেশিকা জারি করেছে। রাজ্যেও এই ধরনের আইন প্রয়োগ করা যায় কিনা তা দেখা হবে। তিনি বলেন, শব্দদূষণ রোধে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আরক্ষা প্রশাসনও যাতে এ সকল ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে তারজন্য রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নেবে। এক্ষেত্রে তিনি জনপ্রতিনিধিদেরও আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্য আহ্বান রাখেন। এই দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের উপর আলোচনা করেন এবং সমর্থন জানান বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী, বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা, বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস, বিধায়ক দীপঙ্কর সেন, বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ