Advertisement

Responsive Advertisement

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন



আগরতলা, ১০ জানুয়ারি: বাংলাদেশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ও আনন্দের দিন, প্রকৃতপক্ষে বিজয়ের পূর্ণতা প্রাপ্তির দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ নয় মাস ১৪ দিন পর পাকিস্তানের অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন মাতৃভূমিতে সগৌরবে ও বীরদর্পে প্রত্যাবর্তন করেন। ঐতিহাসিক ‘‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’’ দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এদিন বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এই দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে এই মিশনের সহকারি হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ এবং মিশনের প্রথম সচিব জনাব মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী ।
এরপর জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিশনের প্রথম সচিব মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা প্রাপ্ত অধ্যাপক মিহির দেব এবং স্বপন কুমার ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. দেবব্রত রায়, আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য অংশ নেন।
সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করলেও বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া সেই বিজয় ছিল অপূর্ণ ও অতৃপ্ত। তিনি বলেন, ‘সেদিন ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সসম্মানে, মাথা উচু করে, বীরের বেশে স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন, দেশ ফিরে পায় তাঁর প্রিয় কিংবদন্তী সন্তানকে, জাতি ফিরে পায় তাঁদের মহান নেতা জাতির স্থপতি’ বঙ্গবন্ধুকে। মুক্ত স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকে ফিরে পেয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ী বাঙ্গালী জাতি অনুভব করে বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ। সহকারী হাইকমিশনার বলেন, দেশ বিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ রোধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন ধ্বংস করতে পারেনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের সোপান বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সহকারী হাইকমিশনার জনাব আরিফ মোহাম্মাদ তার সমাপনী বক্তব্যে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহিদ, সম্ভ্রম হারা ২ লাখ মা বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বতোভাবে সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণ, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী তথা ভারত সরকার, মিত্র বাহিনী, সংস্কৃতিকর্মী, সংবাদকর্মী, বুদ্ধিজীবী সহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ভারতের অংশীদারিত্বের উপর আলোকপাত করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরাবাসী বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের জন্য যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল তাও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ