বিশালগড়, ৭ ডিসেম্বর: রাজ্যের সার্বিক বিকাশ ও জনগণের কল্যাণে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন। রাজ্য সরকারও সবকা সাথ সবকা বিকাশের নীতি নিয়েই কাজ করছে। আজ মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রাঙ্গণে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানে আয়োজিত শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলে মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবারও উদ্বোধন করেন। কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অন্তরা সরকার দেবের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলে এই অ্যাম্বুলেন্সটি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২০ অভিযানে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুযোগ সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই দুই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মানুষের কাছে বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার সুবিধা পৌঁছে দিতেই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২০ অভিযান শুরু হয়েছে। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় কেন্দ্রীয় সরকারের ১৮টি প্রকল্পে দেশের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় দুর্বল অংশের মানুষকে আত্মনির্ভর হতে সহায়তা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অন্ন যোজনায় খাদ্যের অভাব মেটানো হচ্ছে। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচিতে মা ও কন্যা সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশনে প্রতিটি এলাকায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তোলা হচ্ছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল অংশের মানুষের চিকিৎসায় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে জল জীবন মিশনে গ্রাম ও শহর এলাকার প্রতিটি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয়জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত ও বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস, সিপাহীজলা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার অমিত পাঠক, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবীর চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ছন্দা দেববর্মা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ও অতিথিগণ সুবিধাভোগীদের হাতে ৭ লক্ষ টাকার মুদ্রা লোন, বিভিন্ন স্বসহায়ক দলের প্রতিনিধিদের হাতে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ঋণের চেক ও ১০৭ জনের হাতে জমির পাট্টার প্রমাণপত্র প্রভৃতি তুলে দেন।
0 মন্তব্যসমূহ