Advertisement

Responsive Advertisement

ক্লাবের কর্মসূচিগুলিতে মহিলাদের অগ্রাধিকার দিলে সমাজ উপকৃত হবে: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৯ ডিসেম্বর: রাজ্যের ক্লাবগুলিকে তাদের সব ধরনের কর্মসূচিতে নিজেদের এলাকার প্রতিটি বাড়ির সদস্যদের যুক্ত করতে হবে। ক্লাবের কর্মসূচিগুলিতে মহিলাদের অগ্রাধিকার দিলে সমাজ উপকৃত হবে। তাছাড়াও ক্লাবগুলিকে নিজেদের এলাকার প্রতিটি পরিবার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে। আজ তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আয়োজিত শারদ সম্মান-২০২৩ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর থেকে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জন্য ৬টি বিভিন্ন বিভাগে ১৮টি ক্লাবকে এবং অন্য ৭টি জেলায় ৫টি বিভাগে মোট ৩৫টি ক্লাবকে শারদ সম্মান প্রদান করা হয়। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার শারদ সম্মানের বিগ বাজেট বিভাগে আজাদ হিন্দ সংঘ, সংহতি ক্লাব ও ফ্লাওয়ার্স ক্লাবকে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে মায়ের গমন (কার্নিভাল)-২০২৩-এর জন্য ব্লাড মাউথ ক্লাব, সংহতি ক্লাব ও পল্লী উন্নয়ন সংঘকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্গাপূজা এখন রাজ্যের জাতি-জনজাতি সহ সমস্ত অংশের মানুষের এক অন্যতম উৎসব। সকলের মেলবন্ধনে এই উৎসব এখন রাজ্যের জনগণের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গভীর প্রভাব রাখছে। এখন দুর্গাপূজা নিয়ে ক্লাবগুলির মধ্যে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ক্লাবগুলিকে নেশামুক্ত রাজ্য গড়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ক্লাবগুলির সামাজিক দায়বদ্ধতা অনেক। বস্ত্রদান, রক্তদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ক্লাবগুলিকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কেও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিতে হবে। এরফলে রাজ্যের জনসাধারণ যেমন উপকৃত হবেন তেমনি রাজ্যও এগিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ক্লাবগুলিকে কোঅপারেটিভ সোসাইটিতে নথিভুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। এরফলে আগামীদিনে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে ক্লাবগুলিরও সুবিধা হবে।
অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, এবছর দুর্গাপুজা কোনও ধরনের অশান্তি ছাড়াই শান্তি শৃঙ্খলাভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য তিনি রাজ্যের ক্লাব কর্তৃপক্ষদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময় সরকারি উদ্যোগে দুর্গাপূজার আমেজ এক অন্য মাত্রায় গিয়ে পৌঁছেছে। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী দুর্গাপুজা ও মায়ের গমন (কার্নিভাল) শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জন্য যে ৬টি ক্যাটাগরিতে শারদ সম্মান দেওয়া হয় সেগুলি হলো প্রতিমা, পরিবেশবান্ধব, সাজসজ্জা, নিয়মানুবর্তিতা, পুজোর ভাবনা ও বিগ বাজেট। বাকি ৭টি জেলায় যে ৫টি ক্যাটাগরিতে শারদ সম্মান দেওয়া হয় সেগুলি হলো প্রতিমা, পরিবেশবান্ধব, সাজসজ্জা, নিয়মানুবর্তিতা ও পুজোর ভাবনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ