Advertisement

Responsive Advertisement

জিরানীয়া ব্লক ভিত্তিক প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কর্মসূচিতে শামিল মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী


আগরতলা, ২১ নভেম্বর : জিরানীয়ায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা(গ্রামীণ)এর লাভ্যার্থী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার। স্থানীয় অগ্নিবীণা হল ঘরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জ্বলিত করে জিরানীয়া ব্লক ভিত্তিক প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা(গ্রামীণ)এর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।  তিনি লাভ্যার্থীদের সাথে সরাসরি কথা বলেন এবং জিরানীয়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অধীন বিভিন্ন পঞ্চায়েতগুলোকে তাদের কাজের জন্য পুরস্কৃত করেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা(গ্রামীণ) প্রকল্পের মাধ্যমে পাকাবাড়ি তৈরি করা প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সবাইকে, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত মা ও বোনেদের অভিনন্দন জানান মন্ত্রী। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মানুষের মনে সবসময়ই একটা ইচ্ছা থাকে যে, তার একটা নিজস্ব বাড়ি থাকবে। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর প্রতিটি মানুষের মনে নিজের বাড়ির স্বপ্ন থাকে। সেটা যতোই ছোট হোক না কেনো, নিজের বাড়িতে থাকার যে সুখানুভূতি তা যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাকা বাড়ি পেয়েছে সেই জানে, অন্য কেউ সেই সুখানুভূতি উপলব্ধি করতে পারবে না। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার এই লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে। গরিব মানুষের স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। উপস্থিত সাধারণ মানুষের চেহারায় আনন্দ ও উচ্ছ্বাস, একটি সুখময় জীবনের লক্ষ্যে বড় স্বপ্ন বাস্তবায়নের আনন্দ স্পষ্ট ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাদের চোখে-মুখে এই আনন্দের ঝলক ও তৃপ্তির হাসি দেখতে পান বলেও জানান। এটাই সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’।
আপনাদের এই খুশি আপনাদের জীবনকে সচ্ছল করে তুলুক, এটাই আমাদের জন্য সবচাইতে বড় আশীর্বাদ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) এর সকল সুবিধাভোগী সহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অন্যান্য জনহিতকর প্রকল্পের লাভ্যার্থীদের তিনি অনেক অনেক অভিনন্দন জানান। 
এই অনুষ্ঠানে জিরানীয়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এর অধীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজের জন্য পুরস্কৃত পঞ্চায়েতগুলিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। গ্রামগুলি দেশের ও রাজ্যের উন্নয়ন এবং আত্মনির্ভরতার প্রধান কেন্দ্র। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির জনপ্রতিনিধি রূপে আপনাদের ভূমিকা গণতন্ত্রকে মজবুত করা আর গ্রামের মানুষের আশা ও আকাঙ্ক্ষাগুলিকে পূরণ করা। প্রগতি এবং সংস্কৃতির নেতৃত্ব সর্বদাই গ্রামগুলিই প্রদান করেছে। সেজন্য আমাদের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারও প্রতিটি নীতি প্রণয়ন এবং প্রত্যেক প্রচেষ্টার কেন্দ্রে গ্রামগুলিকে রেখেই এগিয়ে চলেছে। সরকার চেষ্টা করছি যাতে আধুনিক ভারতের গ্রামগুলি সমর্থ হয়, আত্মনির্ভর হয়। সেজন্য পঞ্চায়েতগুলির ভূমিকা বাড়ানো হচ্ছে, পঞ্চায়েতগুলিকে নতুন নতুন অধিকার প্রদান করা হচ্ছে, পঞ্চায়েতগুলিকে ডিজিটালাইজ করে তোলার জন্য প্রত্যেক গ্রামকে অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটের মাধ্যমে যুক্ত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
প্রত্যেক বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল প্রদানের জন্য যে জল জীবন মিশন’-এর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে তার তদারকি এবং সম্পাদনের দায়িত্বও পঞ্চায়েতগুলিকে দেওয়া হয়েছে। এটা এমন একটা বড় কাজ যা আপনাদের দায়িত্ব এবং অংশীদারিত্বকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ গ্রামে কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে দরিদ্রদের পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া পর্যন্ত যে ব্যাপক অভিযান আমাদের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার শুরু করেছে, সেগুলির কাজ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে।
গ্রামের উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার ঠিক করতে হলে, সেগুলি সংশ্লিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও পঞ্চায়েতগুলির ভূমিকা বাড়ানো হয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এখানে উপস্থিত পঞ্চায়েত গুলোর প্রতিনিধিদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা নিজেদের গ্রামের উন্নয়নের কথা ভাবুন, গ্রামবাসীর ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী উন্নয়নে গতি আনুন। এটাই আপনাদের নিজ নিজ পঞ্চায়েত এলাকার জনগণ আপনাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে। আপনাদের এই দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েতগুলিকে গ্রামের উন্নয়নের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খরচ করার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। তাই আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যকে উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমি পঞ্চায়েত গুলোর প্রতিনিধিদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
 এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জিরানিয়া মহকুমার মহকুমা শাসক  শান্তিরঞ্জন চাকমা, জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান রতনদাস, জিরানিয়া ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শোভামণি দেববর্মা, ভাইস চেয়ারম্যান যতীন্দ্র দেববর্মা, 
জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জু দাস, ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ