Advertisement

Responsive Advertisement

সেবাই সংগঠন - এই বার্তা নিয়ে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে: মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ৫ অক্টোবর: ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম শক্তি মহিলারা। ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও মহিলাদের স্বশক্তিকরণে খুবই আন্তরিক। তাই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে মহিলা সংরক্ষণের বিল পাস করিয়েছেন তিনি। সবদিকেই প্রধানমন্ত্রীর সমান নজর রয়েছে। আর ভারতীয় জনতা পার্টি একটা সুশৃঙ্খল ও ঐক্যবদ্ধ দল। কংগ্রেস মানেই হচ্ছে একটা উশৃঙ্খল দল। কে সভাপতি হবেন সেনিয়ে তাদের মধ্যে টানা হেঁচড়া চলে। 
বৃহস্পতিবার খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া টাউন হলে আয়োজিত ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন ২৭ কল্যাণপুর, ২৮ তেলিয়ামুড়া এবং ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় কার্যকর্তা ও কর্মীদের নিয়ে এই সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়। 
সভায় মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী দলগুলির সমালোচনা করে বলেন, জোট আমলে ত্রিপুরার মানুষ কংগ্রেসের অবস্থা দেখেছে। কমিউনিস্টদের অবস্থাও মানুষ ৩৫ বছরে প্রত্যক্ষ করেছে। মানুষের কাছে যাওয়ার মুখ নেই তাদের। তাই এখন বিকল্প শুধু ভারতীয় জনতা পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে অপেক্ষা করছেন লোকসভা নির্বাচনের। এরপরই সুযোগ বুঝে দল বদলাবেন তারা। এটা অনেক বছর ধরেই চলে আসছে। অথচ দেশ কোনদিকে যাচ্ছে তাদের হেলদোল নেই। তাদের দেখাদেখি মানুষও ভুলের শিকার হয়। মানুষও সেই মরীচিকার পেছনে ছুটে যায়। 
সাংগঠনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির শক্তি আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা দেশে বিজেপির সদস্য সংখ্যা এখন প্রায় ১৭ কোটির মতো। ত্রিপুরায় যখন পার্টির মেম্বারশিপ ড্রাইভের দায়িত্ব গ্রহণ করি সেসময় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ছিল সবমিলিয়ে ১ লক্ষ ২৪ হাজারের মতো। যা পরবর্তী সময়ে প্রায় সাড়ে ৬ লাখের মতো হয়। আর এটা সম্ভব হয়েছে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। ত্রিপুরায় এখন ভারতীয় জনতা পার্টির ৪২ হাজার পৃষ্ঠাপ্রমুখ রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের জন্য মানুষের সমস্যায় কাজ করতে হবে প্রত্যেককে। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। কারোর বাড়িতে কেউ হাসপাতালে ভর্তি থাকলে তার খোঁজখবর নিতে হবে। কারোর রেশন কার্ডে সমস্যা, এসটি, এসসি সার্টিফিকেট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তাদের পাশে গিয়ে সাহায্য করতে হবে। আর এসমস্ত সাহায্য সহযোগিতা করতে হলে রাজনীতির প্রয়োজন হয় না। এটা সামাজিক দায়িত্ব। এভাবেই মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। 
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম লক্ষ্য সেবাই সংগঠন। কোভিডের সময়েও এই পার্টির কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। সেসময় কিন্তু কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। কোভিড টিকাকরণেও সারা দেশের মধ্যে অন্যতম জায়গায় ছিল ত্রিপুরা। কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সমর্থন আদায় করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। 
এদিন এই সাংগঠনিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী সহ ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা ও মন্ডল স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ