Advertisement

Responsive Advertisement

উত্তর-পূর্ব ভারতের আরো দুই মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৩০ জানুয়ারী: শূন্য যোগ শূন্য ফল হয় শূন্য, রাজ্যের বিরোধী কংগ্রেস ও বামেদের অবস্থা হচ্ছে এমন, এই অভিমত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অধ্যাপক ডা মানিক সাহার। সোমবার মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে এই কথা বলেন। সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান এবার নির্বাচনে বিজেপি ৫০টির বেশি আসনে জয়ী হবে।



রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল সোমবার। এদিন রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভার রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা করেন প্রার্থীরা। 
৮নং টাউন বড়দোয়ালী কেন্দ্রের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে রাজধানীর রামঠাকুর আশ্রম, শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, আনন্দময়ী আশ্রম, লক্ষীনারায়ণ বাড়ি, জগন্নাথ জিউ মন্দির, দূর্গাবাড়ি এবং শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আশ্রমে গিয়ে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। এরপর রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে একটি বিশাল রোড শো'র আয়োজন করা হয়। তখন প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দলের কোর্ডিনেটর ডা: সম্বিত পাত্রা। রোড শো'র গাড়িটি রাজধানীর বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করে জেলা শাসকের অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং রিটার্নিং অফিসার সদর মহকুমা শাসক অরূপ দেবের হাতে মনোনয়ন তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রচুর সংখ্যক কার্যকর্তা ও সাধারণ মানুষ সঙ্গে ছিলেন। তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
এই সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান তার জয় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। আবারও আইপিএফটির সঙ্গে জোট গঠন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে আবারো ক্ষমতায় আসছে দল বলে দাবী করেন তিনি। বিরোধীদের সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের অবস্থা বোঝাতে গিয়ে অংকের সূত্র টেনে বলেন শূন্য যোগ শূন্য সমান সমান শূন্য। অর্থাৎ কংগ্রেস শূন্য এবং বামেরা শূন্য। বিরোধীরা একটি বিষয়েই পারে, তা হচ্ছে কথা বলা। তাদের কথাশিল্পী বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। ৫০টির বেশি আসন পাবেন বলেও জানান তিনি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নিজে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ফোন করে আশীর্বাদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
তিনি প্রতিদিনই বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে বললেন সব সময় যেমন সমর্থন করতো মানুষ এখন আরও বেশি করে সমর্থন করছে। সাধারণ মানুষের হাসিমুখ দেখেই বুঝতে পারা যায় বিজেপির ওপর তাদের পুরো বিশ্বাস রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উত্তরপূর্ব ভারতের জন্য অনেক কাজ করেছেন। যার নাম দেওয়া হয়েছে এক্টইস্ট। অষ্টলক্ষী নাম দিয়েছেন তিনি, ত্রিপুরা থেকে ১১টি দূরপাল্লার ট্রেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। একই ভাবে বিমান পরিষেবা, ইন্টারনেট পরিষেবা, জাতীয় সড়কের মান উন্নয়ন হয়েছে। কৃষি থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব বিষয়ে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ