আগরতলা, ১৯ নভেম্বর : এ আর সি পদ্ধতিতে আলু চাষ বিষয়ক এক দিনের এক স্বচেতনতা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো উত্তর জেলার অন্তর্গত যুব রাজনগরে। বুধবার আয়োজিত এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নান্টু গোস্বামী, যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অপর্ণা সিনহা দেবনাথ, প্রাক্তন বিধায়িকা মলিনা নাথ। বিশেষজ্ঞ হিসেবে আগরতলার নাগিছড়া এলাকার রাজ্যিক উদ্যান ও বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ড রাজীব ঘোষ ও এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর অভিনাস দাস, যুবরাজনগর কৃষি মহকুমার তত্ত্বাবধায়ক বিজন শর্মা প্রমুখ। প্রদীপ জ্বালিয়ে কর্মশালার সূচনা করেন উপস্থিত অতিথিরা।
ড. রাজীব ঘোষ বলেন, ত্রিপুরার কৃষকরা এখনও অনেকাংশে বাইরে থেকে আলুর সিড সংগ্রহের উপর নির্ভরশীল। খরচ বাড়ে, ঝুঁকি থাকে, কখনও কখনও রোগাক্রান্ত বীজও এসে পড়ে। আগামী দিনের লক্ষ্য তাই স্পষ্ট—প্রতিটি জেলায় এ আর সি বীজ উৎপাদনের নিজস্ব নার্সারি গড়ে তোলা।এই নার্সারিগুলোতে রোগমুক্ত টিস্যু কালচার প্ল্যান্ট থেকে উন্নতমানের কাটিং প্রস্তুত হবে। এতে কৃষকরা যেমন কম দামে মানসম্মত সিড পাবেন, তেমনি রাজ্যও সিড–নির্ভরতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবে।
যুবরাজনগর কৃষি মহকুমার তত্ত্বাবধায়ক বিজন শর্মা বলেন, গত বছর এ আর সি পদ্ধতিতে ৩০জন কৃষককে দিয়ে আলু চাষ করানো হয় এবং ১২মেট্রিকটন আলু বীজ কৃষকদের কাছ থেকে সরকারী মূল্যে কেনা হয়। এবছর ১৫০জন কৃষকদের মধ্যে এ আর সি আলু বীজ বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে ২০জন কৃষককে আলুর চারা দেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ