Advertisement

Responsive Advertisement

মাটির গবেষণার মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নের নতুন পথ: কৃষি মন্ত্রী


আগরতলা, ১৭ ডিসেম্বর: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে ত্রিপুরা কৃষি দপ্তর এবং নাগপুরের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ সয়েল সার্ভে (NBSS)-এর মধ্যে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো রাজ্যের তিনটি জেলার চাষযোগ্য জমির ওপর গভীর গবেষণা পরিচালনা করা, যা ত্রিপুরার টেকসই কৃষি ও শক্তিশালী কৃষি ভবিষ্যতের পথ সুগম করবে।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতন লাল নাথ আজ প্রজ্ঞা ভবনে অনুষ্ঠিত ভূ-স্থানিক কৌশল ব্যবহার করে ত্রিপুরার ভূমি সম্পদ তালিকা বিষয়ক কর্মশালা উদ্বোধন করে এই তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে বলেন মন্ত্রী বলেন কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য প্রথমেই দরকার জমি সংক্রান্ত সঠিক তথ্য ও গবেষণা। জমি হলো কৃষির মূল উপাদান; এরপর আসে বীজ, জল এবং বৈজ্ঞানিক চাষাবাদ। আমরা তিন বছর আগে জমির বিভিন্ন স্তরের অবস্থা পরীক্ষা শুরু করেছি। কৃষি বিভাগের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে ত্রিপুরাকে খাদ্যশস্যে সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা। প্রথমে দক্ষিণ ও গোমতি জেলা লক্ষ্য করা হয়েছিল। নাগপুরের এনবিএসএস (NBSS)-এর মাটি বিজ্ঞানীরা জরিপ সম্পন্ন করে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। এরপর আমরা উত্তর, ধলাই ও উনাকোটি জেলার জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি, এবং আজ সেই রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়েছে। পশ্চিম, সিপাহিজলা এবং খোয়াই জেলার অন্তর্ভুক্তি এখনও বাকি রয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন আগে কেউ এই ধরনের উদ্যোগের কথা ভাবেননি। আমি ৩০ বছরের বেশি সময় রাজনীতিতে আছি। পূর্বের সময়ে খাদ্যমন্ত্রী বা কৃষিমন্ত্রীরা ত্রিপুরার খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা প্রসঙ্গে কথা বললেও তা স্পষ্ট পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তবায়িত হয়নি। মাটিবিজ্ঞানীরা আমাদের জানাবেন কোন মাটিতে কী ধরনের ফসল চাষ করা সম্ভব যেমন পাম অয়েল, রাবার, মিলেট, ধান ইত্যাদি। নাগিছড়ায় পূর্বে কিছু পাম অয়েল চাষ করা হয়েছিল, কিন্তু বিশেষ সাফল্য পাওয়া যায়নি। 
তিনি আরো বলেন সমঝোতা স্মারক-এর পর আমরা মাটিবিজ্ঞানীদের সঙ্গে একটি পরিকল্পনা তৈরি করব, যা চাষিদের জন্য সহায়ক হবে এবং তারা সেই অনুযায়ী চাষ করতে পারবে। আজ এই বিষয়ে সহকারী পরিচালক, ডিরেক্টর ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা আগামী দিনে ১০০% সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করব। আমাদের সরকারের আগের সময়ে ২২টি ব্লক খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল; তবে আমাদের সরকারের সময়ে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০টি ব্লক হয়েছে এবং এই বছর আরও ৫টি ব্লক যুক্ত হবে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে আরও কৃষি পণ্যে জি আই ট্যাগিং প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিভাগের সচিব অপূর্ব রায়, কৃষি বিভাগের অধিকর্তা ফণী ভূষণ জামাতিয়া, কৃষি বিভাগের স্টেট নোডাল অফিসার ড. উত্তম সাহা এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ