আগরতলা, ২৫ নভেম্বর : নিত্যদিনের খাবারে আলুর প্রয়োজন হয়। নিরামিষ থেকে শুরু করে মাংস সব কিছু তেই আলু ব্যবহার করা হয়। তাই আলু চাষ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে রাজ্য সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর।
এর প্রেক্ষিতে ঊনকোটি জেলা ভিত্তিক এআরসি আলু চাষ বিষয়ক একদিনের কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গলবার। কুমারঘাটের মানসী হলে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সুমতি দাস, ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, সহ-সভাধীপতি সন্তুষ ধর, বিএসসি চেয়ারম্যান তপন জয় রিয়াং প্রমুখ।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের তরফে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এআরসি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রধান ইনস্টিটিউ উদ্যান রাজ্যিক এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ড. রাজীব ঘোষ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অরিন মজুমদার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অবিনাস দাস, কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের ঊনকোটি জেলার ডিরেক্টর রমেন্দ্র রিয়াং প্রমুখ।
কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সুমতি দাস কর্মশালা সম্পর্কে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আলু শুধু একটি সব্জি নয়, আলু আমাদের আবেগ, কারণ কারণ আমাদের প্রতিদিনের প্রতি বেলার খাবার তালিকা আলু থাকে। মাছ মাংস ছাড়া আমরা একদিন কাঁদিয়ে নিলেও আলু ছাড়া এক বেলাও আমরা কল্পনা করতে পারি না, তাই আলু আমাদের আবেগ। তাই আমি চাষের রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য বেশি করে এবং উন্মুক্ত প্রযুক্তিতে আলু চাষের কাজে এগিয়ে আসতে হবে কৃষকদের। রাজ্যে আলু উৎপাদন বিক্রি করার জন্য এআরসি পদ্ধতি নিয়ে আসা হয়েছে তা দারুণ ভাবে আলুর উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে। শুধুমাত্র কৃষকের আর্থিক উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার ব্যাপক কাজ করছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস বলেন, আলু আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনিয় সামগ্রী। তাই আলু সহ কৃষি জাত সামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বর্তমান কৃষি মন্ত্রী নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছেন। উনকোটি জেলায় প্রচুর কৃষক আলু চাষের সঙ্গে যুক্ত, কিন্তু যদি নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ না করা হয় তবে আমরা পিছিয়ে যাবো। তাই আলু চাষে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসা হয়েছে। এই প্রযুক্তিকে কৃষকদের গ্রহণ করতে হবে। এই সরকার আসার পর কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে ও কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। প্রযুক্তির সুবিধার কথা চিন্তা করে এআরসি প্রযুক্তিকে ব্যাপক ভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
এআরসি প্রযুক্তির বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, দানা বীজ শুধুমাত্র নাগিছড়াতে উৎপাদিত হয়, এই বীজ উৎপাদনের খরচ বেশী তবে এ আর সি পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন অনেক সহজ, ফলে কৃষকরা নিজেই এই চারা উৎপাদন করতে পাবেন। এই পদ্ধতিতে আলুর উৎপাদন প্রায় তিন গুন হয়। ফলে কৃষকরা অনেক বেশী লাভবান হচ্ছেন। এই সকাল কারণে দপ্তর এই পদ্ধতিতে আলু চাষে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ