আগরতলা, ৩ সেপ্টেম্বর: তেল বীজ চাষ সংক্রান্ত বিষয়ে কৃষক পাঠশালার আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো পশ্চিম নোয়াগাঁও পঞ্চায়েতে। ভারতের ভোজ্য তেলের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ এখনো বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। হেয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে চলে যায়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত সরকারের তরফের দেশের ভেতরে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ন্যাশনাল মিশন ফর এডিবল অয়েল নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রেড পাম অয়েল, সরিষা, বাদাম, তিলসহ অন্যান্য তেল বীজ উৎপাদনের জন্য গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে নানা ধরনের তেল বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের বাইরে নয় রাজ্য। রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই এখন আরো অধিক পরিমাণে তেল বীজ উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নানা ধরনের তেল বীজ চাষ সম্পর্কে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের তরফে কৃষক পাঠশালার আয়োজন করা হচ্ছে। খোস্তায় এই পাঠশালা গুলিতে কৃষি বিশেষজ্ঞরা তেলবির চার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ করাবেন। তার অংশ হিসেবে বুধবার কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের পুরাতন আগরতলা কৃষি মহকুমার উদ্যোগে কৃষক পাঠশালা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। পশ্চিম নোয়াগাঁও পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একটি বাড়িতে এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রধান রঞ্জিত দাস বৈষ্ণব, পশ্চিম জেলা কৃষি আধিকারিক ডেপুটি ডিরেক্টর রঞ্জিত কুমার দাস, টি সমিতির ডিরেক্টর অরবিন্দ দেববর্মা, পুরাতন আগরতলা কৃষিমহকুমার কৃষি তত্ত্বাবধায়ক রাজশ্রী চক্রবর্তী সহ অন্যান্য।
ডেপুটি ডিরেক্টর রঞ্জিত কুমার দাস এদিনের এই কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, পানীয় এলাকার ৩০ জন কৃষকের উপস্থিতিতে তেল বীজ চাষ সংক্রান্ত বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আরো ছয় দিন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন মূলত তিল চাষ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান। এর সঙ্গে তিনি আরো বলেন সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে তেল বীজ উৎপাদনে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা। তিল চাষের বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি মাঠে গিয়ে কি করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তিলের বীজ লাগাতে হয় এবং অল্প পরিমাণ জমিতে অধিক পরিমাণ ফসল উৎপাদন করা সম্ভব তা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি এদিন কৃষকদের হাতে তিলের বীজ, জৈব সার এবং ইয়েলো স্টিকি পতঙ্গ নাশক ফাঁদ তোলে দেওয়া হয়।
0 মন্তব্যসমূহ