আগরতলা, ৮ সেপ্টেম্বর : প্রতিবছর ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস। এই দিনটি ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব, আধুনিক কৌশল ও মানুষের জীবনে এর অপরিহার্য ভূমিকা তুলে ধরার জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২৫ সালে এই দিবসের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো বাঁশের ম্যাসাজ থেরাপি।
বাঁশ দিয়ে থেরাপি – কেমন এই কৌশল?
এই থেরাপিতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন আকারের মসৃণ বাঁশের কাঠি। কখনও এগুলো গরম করে, কখনও স্বাভাবিক অবস্থায় রেখে, পেশীর উপর প্রয়োগ করা হয়। বাঁশের কাঠির সাহায্যে শরীরে দেওয়া হয় —
গভীর চাপ (Deep Pressure)
পেশী ম্যাসাজ বা মর্দন
দীর্ঘ ও সমান গতির স্ট্রোক
এর ফলে শরীরের গভীর স্তরের পেশীতে প্রভাব পড়ে, যেটা সাধারণ ম্যাসাজের তুলনায় অনেক কার্যকর।
সুইডিশ ম্যাসাজ থেকে আধুনিক বাঁশ থেরাপি
ম্যাসাজ থেরাপির প্রাচীনতম রূপ হলো সুইডিশ ম্যাসাজ। এর মূল উদ্দেশ্য পেশীকে আরাম দেওয়া, রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো ও শরীরকে হালকা অনুভূতি দেওয়া। বাঁশ থেরাপি সেই প্রাচীন ম্যাসাজের ধারাকে আধুনিকভাবে রূপ দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে Deep Tissue Work ও Trigger Point Therapy— যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, গিঁট বা টান কাটতে দ্রুত ফল মেলে।
বাঁশ থেরাপির উপকারিতা
পেশী শিথিল করে ব্যথা ও জড়তা দূর করে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে শরীরকে সতেজ রাখে। মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। খেলোয়াড়দের জন্য শারীরিক নমনীয়তা বাড়াতে কার্যকর। কোমর, ঘাড়, হাঁটু ও জয়েন্টের সমস্যায় উপকারী।
আজকের দিনে এর প্রাসঙ্গিকতা
দীর্ঘ সময় ডেস্কে বসে কাজ করা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ব্যায়ামের অভাব— সব মিলিয়ে আজকের জীবনযাত্রায় শারীরিক সমস্যার তালিকা দিন দিন বড় হচ্ছে। এই বাস্তবতায় বাঁশের ম্যাসাজ থেরাপি কেবলমাত্র একটি আধুনিক চিকিৎসা কৌশল নয়, বরং শরীর ও মনের সুস্থতা রক্ষার এক কার্যকর উপায়।
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস ২০২৫, ৮ সেপ্টেম্বরের মূল বার্তা হলো— শরীরকে যত্ন দাও, সুস্থ জীবন গড়ে তোলো। আর সেই যত্নের আধুনিক দৃষ্টান্ত হতে পারে প্রাকৃতিক উপকরণে নির্মিত বাঁশের ম্যাসাজ থেরাপি।
0 মন্তব্যসমূহ