Advertisement

Responsive Advertisement

পশ্চিম জেলায় অর্গানিক গোলমরিচ চাষের অনুষ্ঠানিক সূচনা


আগরতলা, ৭ সেপ্টেম্বর : পশ্চিম জেলা রবিবার জৈব কৃষির যাত্রায় একটি নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলো। জিরানিয়া কৃষি মহকুমার অন্তর্গত পশ্চিম বজরালা ভিসি-তে জৈব গোলমরিচের সমবায় বৃক্ষরোপণ সম্পন্ন হলো। এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেন হাচুক এফপিসি (Farmer Producer Company)-এর সদস্য কৃষকরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডা বিশাল কুমার, রাজীব দেববর্মা, মিশন ডিরেক্টর, ত্রিপুরা অর্গানিক মিশন, সোভামণি দেববর্মা, চেয়ারম্যান, বিএসি জিরানিয়া, অর. রঞ্জিত কুমার দাস, উপ-পরিচালক, কৃষি দপ্তর, পশ্চিম ত্রিপুরা, এবং সোমেন কুমার দাস, কৃষি আধিকারিক জিরানিয়া।
এই বছর, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতন লাল নাথর দূরদর্শী নেতৃত্বে, ত্রিপুরা অর্গানিক মিশন প্রাথমিকভাবে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন এফপিসি-এর মাধ্যমে ৪০ কানি জমিতে জৈব গোলমরিচ চাষ শুরু করেছে।
গোলমরিচ, যাকে “মসলার রাজা” বলা হয়, তার স্বাদ, ঔষধি গুণাগুণ এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদার কারণে অত্যন্ত মূল্যবান। বিশেষত জৈব বাজারে এর বিশাল চাহিদা রয়েছে, যা কৃষকদের জন্য অতিরিক্ত আয় এবং উন্নত বাজার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এই উপলক্ষে রাজীব দেববর্মা, মিশন ডিরেক্টর, ত্রিপুরা অর্গানিক মিশন বলেন: “গোলমরিচ ত্রিপুরার একটি ব্র্যান্ড পণ্য হয়ে উঠতে পারে। এফপিসি-এর যৌথ শক্তির মাধ্যমে আমরা শুধু কৃষকদের উন্নত আয় নিশ্চিত করছি না, পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জৈব মসলা বাজারে ত্রিপুরাকে শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করছি। আজকের জিরানিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি একটি বৃহত্তর জৈব ক্লাস্টারের সূচনা, যা আগামী প্রজন্মের কৃষকদের উপকৃত করবে।”
অতিথিরা কৃষকদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং আশ্বাস দেন যে জৈব চাষ সম্প্রসারণে প্রশাসন ও দপ্তরের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে, যাতে জিরানিয়াকে জৈব মসলা চাষের একটি আদর্শ ব্লক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ