আগরতলা, ৬ সেপ্টেম্বর : প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে, তাই ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে রাজ্য সৌরশক্তির দিকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছে।
রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তর ডুম্বুর বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরুজ্জীবিত করার কাজ করছে, যেখানে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
উনকোটি জেলার কৈলাশহরে প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুক্ত বিদ্যুৎ যোজনা উপলক্ষে আয়োজিত সচেতনতা শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে থাকলেও উন্নয়ন সবার জন্য হওয়া উচিত।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর প্রকল্পের সূচনা হয়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে।
তিনি বলেন বিদ্যুৎ মূলত গ্যাস, বায়ু, জল এবং সূর্য থেকে উৎপাদিত হয়। আমাদের রাজ্যে মূলত গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। ডুম্বুরে আগে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হত, কিন্তু গতবছর বন্যায় সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে সেটিকে পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে যাতে ১১ মেগাওয়াট উৎপাদন করা যায়। গ্যাস ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে এবং একদিন শেষ হয়ে যাবে। গ্যাসের ঘাটতির কারণে রুখিয়া, পালাটানা, রামচন্দ্রনগর ও মনারচকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে হবে, তাই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার সৌরশক্তির উপর জোর দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর যোজনার আওতায় বাড়ির ছাদে, সমতল জমিতে প্রায় সর্বত্রই সোলার প্লেট বসানো সম্ভব। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল কমে যায়, পাশাপাশি আয়ও করা যায়।
মন্ত্রী আরও জানান, কৈলাশহরে এপ্রিলে যেখানে ৪০% গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল জমা দিয়েছিলেন, সেখানে ৬১% দেননি। বর্তমানে ৪৬.১% মানুষ বিল দিচ্ছেন, অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এখনও বিল দেন না।
তিনি বলেন আমরা গোটা রাজ্যজুড়ে সচেতনতা শিবির করছি। প্রত্যেকেরই সোলার বসানো উচিত। আমি বলতে চাই, এটি একটি বিশাল প্রকল্প। আমাদের ১০ লক্ষ গ্রাহক আছে, এর মধ্যে আমরা ৫০ হাজার পরিবারে সোলার প্যানেল বসানোর লক্ষ্য নিয়েছি যাতে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিরজিত সিনহা, গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান লক্ষ্মী নমঃ, ভাইস -চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান, পৌর পরিষদের চেয়ারপার্সন চোপলা দেবরয়, সহ-চেয়ারম্যান নিতীশ দে, বিদ্যুৎ নিগমের -এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ বসু এবং আরও অনেকে।
0 মন্তব্যসমূহ