আগরতলা, ১৬ আগস্ট : টেকসই কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে কার্বন ক্রেডিট উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর।
শনিবার মোহনপুর বিধানসভা এলাকার অভিচরণ গ্রামে লেফুঙ্গা কৃষি উপবিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত মেগা অর্গানিক আম ও গোলাপি কাঁঠাল চারা রোপণ কর্মসূচি উপলক্ষে এ কথা জানান রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী নিজে একটি গাছ রোপণ করেন। পাশাপাশি আম ও গোলাপি কাঁঠালের মোট ১,২০০টিরও বেশি চারা রোপণ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন আমাদের কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমাতে হবে। তা না হলে আগামী প্রজন্ম বড় বিপদের মুখে পড়বে। গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজনের মতো বহু সংস্থা আধুনিক শিল্পে যুক্ত। সংস্থাগুলির নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের সীমা রয়েছে। সীমা অতিক্রম করলে তা পরিবেশের ক্ষতি করে। এই ক্ষতিপূরণে তারা কার্বন ক্রেডিট কেনে। ত্রিপুরাতেও এ দিকটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি। কৃষি দপ্তর এ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি করবে এবং মাঠ পর্যায়ে কার্বন ক্রেডিট সংরক্ষণ নিশ্চিত করবে।
মন্ত্রী আরও জানান, ২০১৮ সালের আগে রাজ্যে যেখানে মাত্র ২,০০০ হেক্টর জমিতে জৈব চাষ হত, সেখানে বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬,৫০০ হেক্টরে। এতে যুক্ত হয়েছেন প্রায় ২৬,৮০০ কৃষক।
তিনি বলেন ৫৩টি ফার্মার প্রোডিউসার্স কোম্পানির (FPC) মাধ্যমে আমরা জৈব কৃষিকে এগিয়ে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কৃষকদের কল্যাণের উপর জোর দিয়েছেন। আমাদের কাছে কৃষকরা ঈশ্বরতুল্য। মানুষকে স্বনির্ভর করতে সরকার সবরকম সুবিধা দিচ্ছে। আজ ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। ১১টি দেশ আমাদের শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছে। আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। বাড়তি কার্বন ডাই অক্সাইডের ফলে বিশ্ব উষ্ণায়ন মোকাবিলায় আমাদের আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং মাটিতে কার্বন ধরে রাখতে হবে।
তিনি বিশেষ দিনে যেমন জন্মদিন, বিবাহ বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানান।
0 মন্তব্যসমূহ