Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্য জুড়ে ভারী বৃষ্টিতে বন্যার ভ্রুকুটি, বিপর্যয় মোকাবেলায় প্রস্তুত প্রশাসন



আগরতলা, ৯ জুলাই : আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্য জুড়ে দুদিন ধরে চলছে বৃষ্টিপাত। কিছু কিছু জায়গায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তবে যে কোন ধরণের বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। 
দক্ষিণ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের দরুন বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবারও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গোটা রাজ্যে দিনভর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের দরুন জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিলোনিয়া ও সাব্রুম মহকুমায় বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অন্যান্য মহাকুমাগুলিতেও বিভিন্ন নদীতে বাড়ছে জলস্তর। নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন বন্যার আশঙ্কায় শঙ্কিত। আগামী দুদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপশি দক্ষিণ জেলায় বহাল থাকছে লাল সতর্কতা। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থিত নিম্নচাপ অঞ্চলটি বুধবার ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থান করছে। এর সাথে যুক্ত ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিমি উপরে বিস্তৃত। আগামী ২ দিন ধরে এটি ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর ছত্তিশগড় জুড়ে ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে ৮ জুলাই থেকেই। ৯ জুলাই অর্থাৎ বুধবারও বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণ জেলার বিভিন্নস্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ জেলায় লাল সতর্কতা বহাল রয়েছে এদিনও। গোমতী, সিপাহিজলা এবং পশ্চিম জেলায় কমলা সতর্কতা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা রয়েছে। গোটা দিন সারা রাজ্যে বৃষ্টিপাতের দরুন জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। মানুষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হননি। যারাই রাস্তায় বের হয়েছেন ছাতা বা রেনকোর্ট নিয়ে নিয়ে বেরিয়েছেন। এদিকে হাওড়া নদীতে বাড়ছে জলস্তর। প্রতাপগড়,আড়ালিয়া , বলদাখাল সহ হাওড়ার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল গুলির মানুষ বন্যার আশঙ্কায় শঙ্কিত। তবে যে কোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রশাসন সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ