আগরতলা, ৩জুলাই : খার্চি মেলায় এবছর কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের তরফে স্থানীয় এলাকার কৃষকদের মধ্যে মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্ড বিতরণ করে রেকর্ড সৃষ্টি করলে। মেলার প্রথম দিনেই এই স্টলে লোকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী এবং সবচেয়ে প্রাচীন খার্চি উৎসব এবং মেলা শুরু হলো বৃহস্পতিবার থেকে। সাতদিনব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও মেলা কে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজের স্টল দেওয়া হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের তরফে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কৃষ্ণমালা মঞ্চের পাশে বিশাল আকারের প্রদর্শনী স্টল দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ফিতা কেটে এই স্টলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে রিসা এবং অর্গানিক পণ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
এ বছরের এই স্টলে কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর, উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের বিভিন্ন কাজকর্মের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক কৃষি করে কি ভাবে কৃষকরা লাভবান হবেন এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। রাজধানী আগরতলার অরুন্ধতী নগর এলাকার কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে রাজ্যে এখন চলছে প্রাকৃতিক কৃষি চাষ সম্প্রসারণের কাজ। এই কাজের পুস্তিকা সহ নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে স্টলে। মিলেটসহ অর্গানিক বিভিন্ন ধরনের ফল-ফসল এবং শস্য চাষের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ তুলে দেওয়া ধরা হয়েছে। কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রচার পুস্তিকা রাখা হয়েছে।
তবে এ বছরের এই স্টলে দপ্তরের তরফে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, স্থানীয় পুরাতন আগরতলা কৃষি মহকুমার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের হাতে মৃত্তিকার স্বাস্থ্য কার্ড তুলে দেওয়া হয় স্টল থেকে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলা কৃষি আধিকার রঞ্জিত কুমার দাস, রাজধানী আগরতলার অরুন্ধতী নগর এলাকার রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পিনাকী শঙ্কর দে, মৌসুমী দাস , পুরাতন আগরতলা কৃষি মহকুমার এস এ রাজশ্রী চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের এই প্রদর্শনী স্টলে প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন লোকজন প্রদর্শনী স্টলে উপস্থিত দপ্তরের আধিকারিকদের কাছ থেকে আধুনিক কৃষি সংক্রান্ত নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন।
0 মন্তব্যসমূহ