Advertisement

Responsive Advertisement

বন ধ্বংস না করে বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরি করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেতে হবে : বনমন্ত্রী



আগরতলা, ১ জুলাই: 'একটি গাছ একটি প্রাণ' এই শ্লোগানকে সামনে রেখেই গাছ লাগানোর উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। বন ধ্বংস না করে বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি বন ধ্বংসকারীর বিরুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আজ খোয়াই মহকুমার বেহেলাবাড়িতে রাজ্যভিত্তিক ৭৬তম বনমহোৎসবের উদ্বোধন করে বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী আরও বলেন, বনজসম্পদকে ভিত্তি করে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে রাজ্যে ইন্দো-জার্মান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এবং জাইকা প্রকল্পে নানা কর্মসূচি রূপায়িত হয়। রাজো জাইকা প্রকল্পের মাধ্যমে গাছ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৩০০টি চেকডেম তৈরি করা হয়েছে। বন ধুৎসের কারণে রাজ্যে বনের আয়তন কিছুটা কমে গেছে। তাই এবার ৬ লক্ষ ৫০ হাজার চারা গাছ লাগানো হয়েছে। আগামী ৫ বছরে বিভিন্ন খালি জায়গায় বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে বনকে পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। একটি গাছ মায়ের নামে, ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজনের নামে রোপনের জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সাংসদ কৃতিদেবী দেববর্মণ বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে সকলকে বন রক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। বনকে ভিত্তি করে রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে উন্নতি করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা বিধানসভার সরকারি মুখ্যসচেতক বিধায়ক কল্যাণী সাহা রায় বলেন, মানব জীবনে মনবহোৎসবের গুরুত্ব রয়েছে। সুস্থভাবে বাঁচতে হলে বন রক্ষা করতে হবে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস, এডিসি'র কার্যনির্বাহী সদস্য অনন্ত দেববর্মা, তুলাশিখর ব্লকের বিএসি'র চেয়ারম্যান প্রদীপ দেববর্মা, পুলিশ সুপার রণদিত্য দাস, খোয়াই জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী, বনদপ্তরের পিসিসিএফ আর কে সামল প্রমুখ। বনমহোৎসব উপলক্ষ্যে বেহেলাবাড়ি ভিলেজ মাঠের বিভিন্ন স্থানে বনমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ বৃক্ষরোপন করেন। বনমহোৎসব উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের জেএফএমসি এবং ফরেস্ট প্রোটেকশান ইউনিটগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও বনমহোৎসব উপলক্ষ্যে ১৯টি প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ