আগরতলা, ১৩ জুন: যারা মন্দিরে ঈশ্বরের সেবা করেন তারা ধার্মিক এবং যারা মানুষের সেবা করেন তারা নিজেই ভগবান। এই অভিমত রাজ্যের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথের। শুক্রবার রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার স্টেট হটিকালচার রিসার্চ স্টেশনে আয়োজিত বিকশিত ভারত কৃষি সংকল্প যাত্রা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শুক্রবার। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলো বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, ভারত সরকারের স্লোগান হচ্ছে - এক দেশ, এক কৃষি, এক ভাবনা। এই নীতির উপর কাজ করে চলছে সরকার। মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিকশিত ভারত গঠন করা। তাই কেন্দ্রীয় সরকার গত ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত "বিকশিত ভারত কৃষি সংকল্প যাত্রা"র আয়োজন করে। এই কর্মসূচিতে দেশে ৭০০টি জেলাতেই সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করা হয় বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডঃ ফনীভূষণ জামাতিয়া, এবং উদ্যানপালন ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা দীপক কুমার দাস, স্টেট হটিকালচার রিসার্চ স্টেশনের প্রদান ড. রাজীব ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর এবং মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা ড: নীরজ কুমার চঞ্চল, উপস্থিত ছিলেন কলেজ অব ফিশারিজ এর ডিন প্রফেসর অরুন ভাই প্যাটেল, কলেজ অব এগ্রিকালচার এর অধ্যক্ষ ড: দেবাশীষ সেন
এছাড়াও, আট জেলার ৯জন প্রগতিশীল কৃষক প্রতিনিধি, যাঁরা কৃষি, উদ্যান, মাছ চাষ ও পশুপালনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাঁরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তাদেরকে সংবর্ধিত এবং দশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন মন্ত্রী।
ত্রিপুরা রাজ্যের মোট ৮৬৪টি গ্রামের প্রায় ১.৭২ লক্ষ কৃষক এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন এবং নানাবিধ তথ্য, প্রযুক্তি ও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা অর্জন করেছেন।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের আধুনিক ও টেকসই কৃষিপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান, এবং সরকারি প্রকল্পের সুবিধার সঙ্গে সংযুক্ত করার এক ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জলবায়ু সহনশীল চাষ, পরিবেশবান্ধব কৃষি, ভর্তুকি ও কৃষি বিমা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী স্বশক্তিকরণেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।ত্রিপুরা কৃষি দপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের সঙ্গে কার্যকরভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে যেমন:প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি,মাটির স্বাস্থ্য কার্ড ও পরিচর্যা,কিসান ক্রেডিট কার্ড,আধুনিক সেচ প্রযুক্তি,এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কৃষকবান্ধব প্রকল্প। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নানা বয়সী সাংবাদিকরা, তাদের হাতে মন্ত্রী উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রের উৎপাদিত নানা ধরনের ফলের ঝুড়ি উপহার হিসেবে তুলে দেন।
0 মন্তব্যসমূহ