Advertisement

Responsive Advertisement

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফলকারী ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান পশ্চিম জেলা প্রশাসনের

নিউজের ভিডিও দেখার জন্য লিংকে ক্লিক করুন 👈
আগরতলা, ৫ জুলাই: ভারত সরকারের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পশ্চিম জেলা থেকে প্রথম ১০ জনের মধ্যে যে সকল ছাত্রীরা ছিল তাদেরকে সংবর্ধিত করা হয়। পশ্চিম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনের তিন নম্বর হলে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়িকা মীনা রানী সরকার। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডা বিশাল কুমারসহ শিক্ষা দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা। 
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়িকা মীনা রানী সরকার বলেন, দেশের মেয়েদের রক্ষা এবং তাদের উন্নতির কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি চালু করে ছিলেন। যার ফল হিসেবে আজকের এই কর্মসূচির আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে এবং ছাত্রীরা এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন। সব শেষে তিনি ছাত্রীদের সাফল্য কামনা করেন। 
পাশাপাশি এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলাশাসক ডা বিশাল কুমার বলেন, আজ থেকে ১৫, ১৬ বছর আগে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তখন উনার মধ্যে উনার স্বপ্ন ছিল। এখন প্রশাসনিক আধিকারিক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দেখতে পাচ্ছেন নতুন প্রজন্মের মধ্যেও এধরনের স্বপ্ন কাজ করছে। কিন্তু নানা কারণে অনেক ছাত্রী তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। রাজ্য তাদের স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে যে সকল বাধা রয়েছে এগুলো ধীরে ধীরে দূর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হল সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে ৩০ মহিলাদের সংরক্ষণ করা হয়েছে সরকারের তরফে। এইজন্য তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এই অনুষ্ঠান থেকে। রাজ্যে বর্তমানে মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা আরো ৫০টি বাড়িয়ে আড়াইশোটি করা হয়েছে এর ফলে ছাত্রীদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন এই আসন সংখ্যা খুব দ্রুত ৪০০ তে উন্নীত হবে। তাহলে ছাত্রীরা আরও অনেক বেশি লাভবান হবেন। সেই সঙ্গে এনআইটিতেও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য, এর ফলে যে সকল ছাত্রী এবং তাদের পরিবারকে বহির রাজ্যে গিয়ে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে সমস্যা হয় তা অনেকটাই দূর হবে এবং বাড়িতে বসেই ছাত্রীরা গুণগত শিক্ষা পাবেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নতুন কোর্স চালু করার বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ট্রিপল আইটিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি সহ আইটি সেক্টরে চাকরির জন্য সরকার কাজ করছে বলেও জানান। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ছাত্রীদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ই- ক্লাস রুম, ডিজিটাল প্লাটফর্ম, ট্যাব ইত্যাদি বিতরণ করা হচ্ছে। যার ফলে গুণগত এবং মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠছেন ছাত্রীরা। যার ফল আগামীদিনে শিক্ষাক্ষেত্রে আরও দারুন ভাবে দেখতে পাওয়া যাবে। সর্বোচ্চ সুবিধার জন্য আগে যেখানে বেঙ্গালুরু সহ অন্যান্য বড় শহরে যেতে হতো তা এখন রাজ্য নিয়ে আসা হচ্ছে। যার ফলে ছাত্রীরা যেমন প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারছেন সেই সঙ্গে চাকরির ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তিনি আসা ব্যক্ত করেন রাজ্য থেকে তাদের মধ্যে যে দক্ষতা এবং শিক্ষা লাভ হচ্ছে তাকে রাজ্যের উন্নয়নে কাজে লাগাতে এই সকল ছাত্রীরা উদ্যোগী হবেন। 
ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল ২৫ জন ছাত্রীকে এদিন সংবর্ধিত করা হয় জেলা প্রশাসনের তরফে। তাদেরকে সংবর্ধনা স্মারকের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও করা হয়। উপস্থিত অতিথিরা ছাত্রীদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন। মাধ্যমিক পাস ছাত্রীদের ৫ হাজার টাকা করে এবং যে টপ করেছে তাকে কুড়ি হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ