Advertisement

Responsive Advertisement

জরুরী অবস্থার সময় গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকারের উপর আঘাত আনা হয়েছিল: মুখ্যমন্ত্রী



আগরতলা, ১ জুলাই: দেশে জরুরী অবস্থার সময় গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারের উপর আঘাত আনা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে যে জরুরী অবস্থা জারি করেছিল তাতে দেশের গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত হয়েছিল। জরুরী অবস্থার সময়ে দেশের সংবিধানকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল। ফলে দেশের গৌরবময় সংবিধান ও আইনি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। সোমবার নরসিংগড়স্থিত ত্রিপুরা জুডিশিয়াল একাডেমির অডিটরিয়ামে 'ভারতের সংবিধানে জরুরী বিধানের অতীত ও সম্ভাবনা'র উপর আলোচনাসভার উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। রাজ্যের জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় এই আলোচনাসভার আয়োজন করে। 
                        আলোচনাসভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে জরুরী অবস্থা জারি হওয়ার ফলে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও নাগরিক অধিকারগুলোর উপর গভীর প্রভাব পড়েছিল। তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার শাসন ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অস্বীকার করেছিল। তিনি বলেন, জরুরী অবস্থার সময় বিরোধী দলের শীর্ষনেতা সহ বহু নেতা ও কর্মীদের বিনা বিচারে মিথ্যা মামলায় জেলবন্দি করে রেখেছিল তৎকালীন সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদমাধ্যম হচ্ছে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু জরুরী অবস্থার সময় সংবাদমাধ্যমের উপরও কঠোর নিয়ন্ত্রন আরোপ করা হয়েছিল। এরফলে বিরোধী দল সহ জনগণের স্বাধীন মতামত প্রচারের পথও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
                     আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ প্রতাপ সিং ভারতের সংবিধানের জরুরী বিধানের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা দপ্তরের সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভারতের সংবিধান সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্যুইজের আয়োজন করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ