Advertisement

Responsive Advertisement

বন ও হাতি রক্ষায় বনদ প্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মার বিশেষ উদ্যোগ





আগরতলা, ১১জুন : কাগজপত্রের রাজ্যের মোট এলাকার প্রায় ৬৫শতাংশ বনভূমি এবং দেশের প্রায় ২২ শতাংশ বনভূমি। তুলনামূলক হিসাবে এই তথ্যগুলো দেখে ভালো লাগলেও বাস্তবে রাজ্যের বনভূমির ৬০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই অভিমত রাজ্যের বনদপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মার। মঙ্গলবার বিকেলে কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা তিনি স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করে নেন। তখন তার সঙ্গে ছিলেন বন দপ্তরের একাধিক উচ্চ আধিকারিক। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং রাজ্যের বনভূমিকে ঘন বনে পরিণত করার জন্য সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতার প্রয়োজন বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। 
 পাশাপাশি মন্ত্রী এদিন আরো জানান উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় এবং প্রথম বনজ ফুলের বিশাল আকারের বাগান গড়ে তোলা হবে। যে বাগানে ছয়টি ঋতুতেই ফুলে পরিপূর্ণ থাকবে। রাজ্যের খোয়াই জেলার তুলাশিখরে প্রথম এমন বাগান গড়ে তোলা হবে। তিনি আরো বলেন এ ধরনের বনজ ফুলের বাগান জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে রয়েছে। এই বাগানটি সফল হলে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই এ ধরনের বড় প্রাকৃতিক ফুলের বাগান গড়ে তোলা হবে। তবে এই কাজের জন্য রাজ্যের প্রতিটি মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও জানান মন্ত্রী। 
 রাজ্যে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বনদপ্তর এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী পাঁচ জুলাই পাঁচ মিনিটে সারা রাজ্যে পাঁচ লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই কাজে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ আধা সামরিক বাহিনী সহ বিভিন্ন অফিস এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেবেন বলেও জানান। 
 মন্ত্রী আরও জানান রাজ্যের হাতি মানব দ্বন্দ্ব করার জন্য তিনি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। বনদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো জঙ্গলের পাশে যে সকল বসতি রয়েছে এই বসতিগুলোর পাশে খাল কেটে দেওয়া হবে যাতে হাতিরা জনপদে প্রবেশ করতে না পারে। হাতি চলাচলের এলাকায় পাঁচটি নজরদারি টাওয়ার বসানো হবে, এই টাওয়ার গুলি থেকে ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালাবে এলিফ্যান্ট ওয়াচাররা। যে সকল এলাকায় হাতির সমস্যা রয়েছে সেই সকল এলাকার যুবকদেরকে এলিফ্যান্ট ওয়াচর হিসেবে নিয়োগ করা হবে। তাদেরকে হাতি তাড়ানোর জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দেওয়া হবে। 
 কিছু কিছু গাছপালা হাতিরা এড়িয়ে চলে, যেমন লেবু আদা, লঙ্কা ক্যাকটাস ইত্যাদি গাছ। লোকালয়ের পাশে এই সকল গাছ লাগানো হবে যাতে হাতিরা এড়িয়ে চলে। পাশাপাশি হাতিদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার-দাবারের জন্য কলা গাছ সহ অন্যান্য গাছ এবং জঙ্গলের মাঝে লবন দেওয়া হবে, কারণ হাতি লবণ খেতে পছন্দ করে। হাতিদের করিডোরের মধ্যে জাতীয় সড়ক পড়েছে হেয়ার ফলে তাদের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। তারা জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে ভয় পায়। তাই হাতি করিডোর কে অবাধ করার জন্য জাতীয় সড়কের তিন জায়গায় আন্ডার পাস করা হবে। ফলে হাতিরা অনায়েসে এই আন্ডারপাস গুলো ব্যবহার করে জাতীয় সড়কের এক একদিক থেকে অন্যদিকে চলাচল করতে পারবে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ