Advertisement

Responsive Advertisement

মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী বিলোনিয়াবাসী

উৎপল বৈদ্য, বিলোনিয়া, ৭ মে : স্বামী স্ত্রী একসাথে ঘুরতে বের হলে বিপদ না মহাবিপদ। অতি উৎসাহী সমাজ সচেতক তথা সমাজ সংশোধনকারি নাম ধারীদের খপ্পরে পড়লে লাঞ্ছিত হতে হবে। নতূবা পরকীয়ার অভিযোগ তুলে বিডিও তুলে ছেড়ে দেওয়া হবে সামাজিক মাধ্যমে। একদিকে স্বামীকে পেটাচ্ছে, অন্যদিকে স্ত্রীকে পেটাচ্ছে অতি উৎসাহী সমাজ সচেতন কারী নাম ধারীরা। যা মধ্য যুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। এই রকম জঘন্য ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটে গেল ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া থানাধীন চিত্তামারা কচ্ছবা এলাকায়। গতকাল রাতে এই ঘটনা সংঘটিত হয় । এই বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী বিলোনিয়া মহিলা থানাতে দ্ধারস্থ । ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে অতি উৎসাহী সমাজ সচেতনকারী নাম ধারীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও হেলদোল নেই বিলোনিয়া মহিলা থানার এমনই অভিযোগ রয়েছে । মহিলা থানার ওসি স্বপ্নার কোন হেলদোল না দেখে অবশেষে মঙ্গলবার বিয়ের ছবি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের দ্ধারস্থ স্বামী স্ত্রী উভয়ে। অনেকের অভিমত এই স্বামী স্ত্রী যদি কোন অপরাধ করে থাকে পুলিশের দ্ধারস্থ হতে পারতো সমাজ শোধনকারী নাম ধারিরা । তা না করে একেবারে অতি উৎসাহী সমাজ সচেতনকারী নাম ধারীরা বেধরক ভাবে জুতো পেটা, লাথি, ঘুষি, চুলের মুঠি ধরে টানা কোন ভাবে মানা যায় না। ঘটনা জুড়ে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে। রাম রাজত্বে বিবাহিত নিজের স্ত্রীকে নিয়ে বের হওয়া , ঘুরতে যাওয়া নিরাপত্তা যেন বিপদের মুখে । এমনই বিপদের মুখে পড়ে কোনমতে প্রানে রক্ষা পেল বিলোনিয়া পুরাতন মোটর স্ট্যান্ডের বাসিন্দা সঞ্জয় দাস সহ তার স্ত্রী রাখি সরকার দাস । নিমন্ত্রণ খেয়ে বাড়িতে ফিরে আসার সময় চিত্তামারা কচ্ছবা এলাকায় স্বামী স্ত্রীকে ধরে, পরকিয়া সম্পর্ক বলে দাবি করে বেধরক মারধর ঐ এলাকার গুনধর সমাজ সংশোধনকারী নাম ধারীরা । সঞ্জয় দাস সাথে রাখি সরকারের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় বারো বছর আগে । তা সত্ত্বেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অবৈধ পরকিয়া দাবি করে গুনধর সমাজ সংশোধনকারী নাম ধারীদের দ্ধারা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় অপমান বোধ করছে সঞ্জয় দাস ও রাখি সরকার দাস। এখন দেখার বিষয় সমাজ সচেতনকারী নাম ধারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্ৰহন করবে কিনা মহিলা থানার ওসি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ