Advertisement

Responsive Advertisement

ইন্ডিয়া জোট জনসাধারণকে ধোঁকা দেওয়ার একটা চক্রান্ত, শীঘ্রই সারা দেশে বিলুপ্ত হতে চলেছে: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৯ এপ্রিল: সব বুথেই পদ্মফুল ফোটানোর সংকল্প নিয়ে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মাকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে। ইন্ডিয়া জোটের নামে সিপিএম এবং কংগ্রেস মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এটি খুব শীঘ্রই একটি নামমাত্র সংখ্যায় পরিণত হবে। দীর্ঘ বছরের শাসনে এরা শুধু রাজ্যকে অবনতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। 
          আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে মঙ্গলবার সাব্রুমে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
              সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই এলাকায় ১৯৯৩ সাল থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ১৩ জন নাকি খুন হয়েছিল। যেখানেই যাই সেখানেই মৃতের সংখ্যা। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে কমিউনিস্টদের শাসনে শুধু দক্ষিণ জেলায় ৬৯ জন খুন হয়েছিলেন। অদ্ভুত এক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতদিন ধরে আমরা দেখে এসেছি। আর ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শনে আমরা এই রাজ্যে একটা শান্তিপূর্ন নির্বাচন করেছি। 
                         মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, কমিউনিস্টদের শাসনামলে রাজ্য জুড়ে অসংখ্য লোককে খুন করা হয়েছিল এবং পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। তবে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমি জোর দিয়ে বলেছিলাম যে কোন ধরণের সহিংসতা মেনে নেওয়া হবে না। বিরোধীদের বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মানুষ বুঝতে পেরেছিল যে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই দেশের সঠিক উন্নয়ন করতে পারেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে ইউপিএ সরকার তাদের দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারীর জন্য কুখ্যাত ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার সাথে সাথে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে।
                      মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশকে সুরক্ষিত করতে, আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে উন্নয়ন করতে এবং সবার জন্য কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজেপি মানুষকে পাশে নিয়ে চলতে বিশ্বাস করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে প্রায় ৫০০ বছর পর রাম মন্দির অবশেষে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। আর ইন্ডিয়া জোট গঠন করা হয়েছিল শুধুমাত্র মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য। কেরালায়, সিপিএম এবং কংগ্রেসের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও জোটের বেহাল দশা। কিন্তু তবুও ত্রিপুরায় তারা অশুভ জোটে রয়েছে। খুব সহসাই ইন্ডিয়া জোট শুধুমাত্র নামমাত্র সংখ্যায় পরিণত হবে। 
                  সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির বরিষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধায়ক মাইলাফ্রু মগ, যুব নেতা নবাদল বনিক সহ বিজেপি, আইপিএফটি ও তিপ্রা মথা দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ