আগরতলা, ২ এপ্রিল: সমস্যা তৈরি করে রাজ্য শাসন করে গেছে সিপিএম কংগ্রেস। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে কোন গুরুত্ব দেয় নি তারা। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি প্রকৃত অর্থে মানুষের সার্বিক কল্যাণে বিশ্বাস করে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর আস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে মানুষের। আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত হবেন।
লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে মঙ্গলবার কল্যাণপুরে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। কল্যাণপুর - প্রমোদনগর মন্ডলের উদ্যোগে স্থানীয় লোটাস কমিউনিটি হলে এদিন বিশিষ্টজনদের সাথে মতবিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ৭০ এর দশকের পরিস্থিতি আমরা লক্ষ্য করেছি। কি পরিস্থিতি কায়েম করে রেখেছিল? ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে রাজ্যের কি অবস্থা ছিল? রাজ্যের সব জায়গাতেই একটা আতঙ্কের পরিবেশ কায়েম করে রেখেছিল। তাদের লক্ষ্যই ছিল রাজনীতি করতে হবে, আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রাখতে হবে। যেনতেন প্রকারে সরকারে টিকে থাকাই তাদের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তারপর যা মনে ধরবে সেটাই করবো - এই ভাবনাই ছিল তাদের। যাদের ভোটে জয়ী হয়েছি তাদের চিন্তা কম কর, আর নিজের চিন্তাটাই বেশি কর। এই রাজনীতিই আমরা এতদিন প্রত্যক্ষ করে এসেছি। আগের কংগ্রেস বা কমিউনিস্ট নেই আর এখন। এক অদ্ভূত দর্শন সৃষ্টি করেছে তারা। মানুষকে দাবিয়ে চলা এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ না করা তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য হয়েছে। সমস্যা সৃষ্টি করেই তারা মসনদে থাকতে চেয়েছে। তারা এখন কংগ্রেস সিপিএম জোট বলতে লজ্জাবোধ করে। তাই বলছে ইন্ডিয়া জোট।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশিত দিশায় কাজ করে যাচ্ছে রাজ্যের বর্তমান সরকারও। ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সঙ্গে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান শুরু করা হয়। আজকাল বিরোধীদের কোন কাজকর্ম নেই। তাদের পায়ের তলায় এখন আর জমি নেই। এখন তাদের কাজ শুধু সাংবাদিক সম্মেলন করা। আর সেই সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপিকে নয়, মথাকেই গালিগালাজ করে। কারণ তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটা না হওয়ায় এখন আঙুর ফল টক হয়ে গেছে। তাদের স্বভাবই হচ্ছে গিরগিটির মতো রঙ পাল্টানো।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জনজাতি অংশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে এই সরকার খুবই আন্তরিক। জনজাতিদের সকল গোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে এডিসির আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০টি করতে রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে দিল্লির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বর্তমান সরকার। ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারই মানুষের সরকার। প্রত্যেক মানুষের উন্নয়নই এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এই সরকার জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষকে নিয়ে শান্তি সম্প্রীতির সহাবস্থান নিয়ে চলতে চায়। রাজ্যে বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থাও খুবই ভালো অবস্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন কোন সহিংস ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিজেপি প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, জনজাতি মোর্চার নেতা ডেভিড দেববর্মা সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।
0 মন্তব্যসমূহ