আগরতলা, ৩০ এপ্রিল : প্রখর রৌদ্র এবং অস্বাভাবিক গরমের কথা চিন্তা করে পশ্চিম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাধারণ মানুষদের মধ্যে গ্লুকোজ মিশ্রিত জল এবং শরবত বিতরণ করা হচ্ছে।
ঋতুচক্রের নিয়ম মেনে এখন গ্রীষ্মকাল চলছে। এই ঋতুতে আবহাওয়া প্রচন্ড শুষ্ক থাকে। মাঠ ঘাট পুকুর শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায়। তবে মাঝে মাঝে কালবৈশাখী ঝড় এবং বৃষ্টি এই ঋতুতে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দেয়। কিন্তু এবছর রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে চারিদিক শুষ্ক। তার উপর সূর্যের প্রকর তাপ মানুষদের না বিশ্বাস করে তুলেছে। প্রতিদিন রাজধানী আগরতলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৩৫ডিগ্রি থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে। তবে এখানেই শেষ নয় বৃষ্টি না থাকার কারণে উষ্ণতার অনুভূতি ৪৫ থেকে ৪৮° সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে দুপুর বেলা বাইরে বের হওয়া অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও জরুরী কাজে সাধারণ মানুষদেরকে বের হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে পথ চলতি মানুষদের স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে পশ্চিম জেলা প্রশাসন জলছত্রের আয়োজন করছে। মঙ্গলবার থেকে রাজধানী আগরতলার পশ্চিম জেলা শাসকের অফিসের সামনের ভিআইপি রোডে এই জলছত্রের আয়োজন করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনীর সদস্যরা গ্লোকোজ মিশ্রিত জল শরবত ক্লান্ত পথিকদের মধ্যে বিতরণ করছেন। পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডা. বিশাল কুমার রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজ হাতে সাধারণ মানুষদের মধ্যে শরবত বিতরণ করে কর্মসূচির সূচনা করেন। প্রকৃতির এই কঠিন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যাতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হন এবং যদিও বা ঘর থেকে বের হন তাহলে ছাতা টুপি এবং জলের বোতল সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান সাধারণ মানুষদের স্বস্তি দিতে জেলাশাসকের অফিসের সহায়তায় এবং ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের উদ্যোগে জলছত্রের আয়োজন করা হয়েছে।
বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে ও রাজধানী শহর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের জলছত্রের আয়োজন করা হচ্ছে। এর ফলে প্রকর রুদ্রে বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।
0 মন্তব্যসমূহ