Advertisement

Responsive Advertisement

বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ২য় পর্বের অনুষ্ঠানও ছিল জাঁকজমক পূর্ণ

আগরতলা, ২৬ মার্চ : রাজধানী আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আগরতলাস্থ হোটেল পোলো টাওয়ার্সে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। সন্ধ্যা সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব মো: আল আমীন বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেন্ডি নাল্লু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, ত্রিপুরা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি অরিন্দম লোধ ত্রিপুরা হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এস সি দাস, লোকায়তর চেয়ারপারসন কল্যাণ নারায়ণ ভট্টাচার্য, ত্রিপুরা বিধানসভার বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ, ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব জিতেন্দ্র কুমার সিনহা, ত্রিপুরা রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দে। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন সম্মানিত সচিববৃন্দ, আইএএস ও আইপিএস সহ রাজ্যে কর্মরত সকল উচ্চ স্তরের সরকারি আধিকারিকগণ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহারাজা বীর বীক্রম বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস চ্যান্সেলর, বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব স্বপন ভট্টাচার্য ও মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণের উত্তরাধিকারিগণ, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, ত্রিপুরার স্বনামধন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্বত্তাধিকারী, সম্পাদকগণ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং ত্রিপুরার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ এবং বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গ।
সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ তার মূল বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহিদ, সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বতোভাবে সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণ, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী তথা ভারত সরকার, ভারতের তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শ্রী অটল বিহারী বাজপায়ী, মিত্র বাহিনী, সংস্কৃতিকর্মী, সংবাদকর্মী, বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, বিগত ০৫ দশকে ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার ভূমিকা এবং বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শ্রী নরেন্দ মোদির ঐতিহাসিক সম্পর্কের ফলে দু'দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। তিনি আরও বলেন বিগত ৫০ বছর ধরে আমরা এ রাজ্যের মানুষের সেবা করতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন, আগরতলা রাজ্যের সকল অংশের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্যর মাননীয় গভর্ণর শ্রী ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নান্নু তাঁর বক্তব্যে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার অবদানের স্মৃতিচারণ করে ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মানুষের আত্মীয়তার সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরায় যে ধরনের সংযোগ রয়েছে ও ভবিষ্যতে যে ধরনের কানেকটিভিটি চালু হচ্ছে তা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিল্পী রয় শ্রীপর্ণার পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় যা দর্শকদের নজর কাড়ে। সন্ধ্যা অতিথিদের সম্মানে রাতের খাবার পরিবেশন করা হয় এবং রাত্রি উপস্থিত সুধীজনকে সহকারী হাইকমিশন এর পক্ষ থেকে একটি সৌজন্য উপহার প্রদান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ