কলকাতা, ৮ মার্চ : সুসংহত সংগঠনই ভারতীয় জনতা পার্টির সবচাইতে বড় শক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিক নির্দেশনায় বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী মানেই উন্নয়ন, উন্নয়নের গ্যারান্টি। আর সেই গ্যারান্টির বাস্তবায়নেও গ্যারান্টি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই প্রধানমন্ত্রীর হাতকে পুনরায় শক্তিশালী করে তুলতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করতে হবে।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মালদায় একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এই গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে টানা দুদিন ধরে দলীয় সাংগঠনিক কর্মসূচি সহ দলের প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত বিভিন্ন প্রচার কর্মসূচিতে হেভিওয়েট তারকা প্রচারক হিসেবে যোগ দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। দুদিনের ঝটিকা প্রচারে নেমে ত্রিপুরার কমিউনিস্ট জমানার কালো অধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় অত্যাচার নিপীড়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি।
এদিন মালদা বিভাগের চারটি লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব ও কার্যকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন যে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই চার কেন্দ্রেই সকল বাধা পেরিয়ে বিপুল ভোটে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা জয়যুক্ত হবেন। ডাঃ সাহা বলেন, পার্টির নির্দেশে প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিতে এখানে আসা। দলীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর মানুষের বিশ্বাস রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এখন বিকাশের লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলছে। উন্নয়নের জন্য গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সার্বিক উন্নয়নেও বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছেন তিনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ও তার সহযোগী দলগুলি চারশোর অধিক আসন নিয়ে ফের একবার দেশের ক্ষমতায় আসবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন ডাঃ সাহা।
ভারতীয় জনতা পার্টি শাসিত রাজ্যগুলিতে কিভাবে দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরায় দ্রুত বিকাশের উদাহরণও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কিভাবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলি মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়িত হচ্ছে সেবিষয়ে অবগত করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, পরিশ্রুত পানীয় জল, আয়ুষ্মান কার্ড, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ, জাতীয় সড়ক উন্নয়ন, রেল যোগাযোগ উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। এরমধ্যে ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আরো একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বয়স্ক নাগরিকদের জন্য সামাজিক ভাতা দ্বিগুণের অধিক বৃদ্ধি করা। বর্তমানে এই প্রকল্পে প্রত্যেক নাগরিককে জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির নীতি আদর্শ এবং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য। এছাড়া ত্রিপুরায় টানা প্রায় ৩৫ বছরের কমিউনিস্ট জমানায় মানুষকে বঞ্চনা ও নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরে কঠোর সমালোচনা করেন। এর সঙ্গে সন্দেশখালি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পশ্চিমবাংলার তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন ত্রিপুরার চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী।
0 মন্তব্যসমূহ