Advertisement

Responsive Advertisement

ত্রিপাক্ষিক চুক্তি, 'এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা,' এর লক্ষ্যে আরো একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ মার্চ: গত প্রায় এক দশক ধরে উত্তর পূর্বাঞ্চলকে সহিংসতা-মুক্ত, উগ্রবাদ-মুক্ত এবং সংঘাত-মুক্ত অঞ্চল হিসেবে রাখার জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে এই অঞ্চলের বিকাশ সাধনে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সরকার, ত্রিপুরা সরকার ও তিপরার মধ্যে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পর্কে বিবৃতি দিতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
                       বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানান, গত ২ মার্চ নয়াদিল্লীতে কেন্দ্রীয় গৃহ ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে ভারত সরকার, ত্রিপুরা সরকার ও তিপরার মধ্যে একটি ঐতিহাসিক ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনের সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ও সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তিতে তিপ্রা-র পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রদ্যুৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা, বিজয় কুমার রাঙ্খল ও অনিমেষ দেববর্মা। রাজ্য সরকারের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিনহা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব পীযূষ গোয়েল।
                     মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, ভারত সরকার গত এক দশক ধরে উত্তর-পূর্বকে সহিংসতা-মুক্ত, উগ্রবাদ-মুক্ত এবং সংঘাত-মুক্ত অঞ্চলে পরিণত করার জন্য অবিরাম কাজ করে চলেছে। এই সময়ের মধ্যে, উত্তর পূর্বের বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক হাজার ব্যক্তি সহিংসতার পথ ত্যাগ করে উন্নয়নের মূল স্রোতে যোগ দিয়েছে। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই চুক্তি খুবই জরুরি ও সময়োপযোগী ছিল। আমি বিশ্বাস করি এই চুক্তি ত্রিপুরাকে এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 
                   মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সর্বপ্রথমে এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদনের জন্য আমি দেশের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও গৃহমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি তিপ্রার নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই চুক্তির সঠিক বাস্তবায়ন এবং রাজ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট পক্ষ চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে কোন ধরনের আন্দোলন/বিক্ষোভ করা থেকে বিরত থাকার বিষয়টি এই চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
        আর এই ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে আমরা 'এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা' ও উন্নততর ত্রিপুরার দিকে আরও এক কদম অগ্রসর হয়েছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ