Advertisement

Responsive Advertisement

রামচন্দ্রঘাট বাজারে সৌর বিদ্যুৎ চালিত কোল্ড স্টোরেজ এবং কৃষকদের মধ্যে সামগ্রী বিতরণ

আগরতলা, ২৩ফেব্রুয়ারী : রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক অবস্থা উন্নতির জন্য রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে খোয়াই পূর্ব রামচন্দ্রঘাট বাজারে সৌর বিদ্যুৎ চালিত কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করা হয় এবং কৃষকদের মধ্যে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হয়। 
সাধারণত বড় বড় কৃষকরাই তাদের উৎপাদিত ফসল কোল্ড স্টোরেজগুলোতে মজুদ রাখে। ছোট কৃষকদের কথা চিন্তা করে রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সৌর বিদ্যুৎ চালিত ছোট আকারের কোল স্টোরেজ নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ছোট আকারের কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা হচ্ছে কৃষকরা তাদের জমিতে উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসার পর একদিনে সব ফসল ও সবজিবিক্রি নাও হতে পারে, অবিক্রি ফল সবজি ইত্যাদি সামগ্রী যাতে ছোট কোল্ড স্টোরেজ গুলিতে নামমাত্র মূল্যের বিনিময়ে  রাখতে পারে এবং পরবর্তী সময় বিক্রি করতে পারে যার ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে চাষিরা। এইসব বিষয় চিন্তা করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের কোল্ড স্টোরিস তৈরি করা হয়েছে। খোয়াই কৃষি মহাকুমার অন্তর্গত রামচন্দ্র ঘাট বাজারে ছয় মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সৌর বিদ্যুৎ চালিত কোল্ড স্টোরেজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাস, খোয়াই জেলার উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর সবেন্দ্র দেববর্মা, খোয়াই জেলা কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ দাস, কৃষি তত্ত্বাবধায়ক শ্রীকান্ত নাথ প্রমুখ। 
এউপলক্ষে পূর্ব রামচন্দ্রঘাট অটল কমিউনিটি হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষকদের স্বনির্ভর করে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এর সুফল ইতিমধ্যেই ফলতে শুরু করেছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাস আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গঠনে এগিয়ে আসতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি তত্ত্বাবধায়ক শ্রীকান্ত নাথ। সভাপতিত্ব করেন খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য খোকন পাল। উল্লেখ্য এই হিমঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা। উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের তরফে এটি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। 
অনুষ্ঠানে এছাড়াও রেইনফেড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট জাতীয় মিশনে ৩৬ জন প্রাণীপালককে একটি করে মোট ৩৬জন কৃষককে শূকরের ছানা এবং ৪ জন কৃষককে ভার্মিকম্পোস্ট সার তৈরীর সরঞ্জাম পিডিইপি ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ