আগরতলা, ১৫ ফেব্রুয়ারী: প্রতিদিনই রাজ্যের কোথাও না কোথাও বিরোধী দলে ভাঙ্গন দেখা যাচ্ছে, এইসব দল ত্যাগীরা শামিল হচ্ছেন শাসক দল বিজেপির পতাকাতলে। এবার আইনজীবী শিবিরে বড়সড় ভাঙ্গন ধরালো ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি। শাখা সংগঠন বিজেপি লিগ্যাল সেলের উদ্যোগে ৬৫ জন আইনজীবী বিভিন্ন দল ত্যাগ করে পদ্মফুল হাতে তুলে নিলেন। বৃহস্পতিবার রাজধানী আগরতলার কৃষ্ণনগর এলাকার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তারা বিজেপিতে সামিল হলেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচাৰ্য, প্রদেশ সহসভাপতি ডা অশোক সিনহা, সহসভাপতি সুবল ভৌমিক লিগ্যাল সেলের কনভেনার অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ দেবেসহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তোলেদেন মুখ্যমন্ত্রীসহ উপস্থিত নেতৃত্ব।
যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে সকল আইনজীবীরা এদিন বিজেপিতে এসেছেন তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা আসার ফলের দল আরো মজবুত ও শক্তিশালী হবে। বিজেপি একটি পরিবারের মতো কাজ করে। সকলে মিলে এক পরিবার। এই দলে সভাপতির কথাই আসল এটা সর্বভারতীয় ক্ষেত্র থেকে শুরু করে মন্ডল পর্যন্ত একই নিয়মে পরিচালিত হয় বলে জানান। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজের প্রশংসা করে বলেন, তিনি আসায় দেশের চেহারা বদলে গিয়েছে। রাজনীতিতেও পরিবর্তন এসেছে।২০১৪সালের আগে পাকিস্তান ও চীন কেমন চাপ সৃষ্টি করতো, কিন্তু এখন তারা তা করার সাহস পাচ্ছে না।
পাশাপাশি এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপিতে দিকে যোগদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাহাড় থেকে শুরু করে গ্রামীন এলাকার সব জায়গাতেই মানুষ বিজেপিকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তার একটাই কারণ ভারতে নতুন এক পরিবর্তন এসেছে, শ্রেষ্ঠত্বের দিকে এগিয়ে চলছে। সামরিক, বৈদেশিক সমস্ত দিক দিয়ে ভারত বিকশিত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প কেউ হতে পারেন না তা মানুষ বুঝে গিয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। একইভাবে রাজ্যের বর্তমান সরকারের সংকল্প হচ্ছে প্রতিটি মানুষের উন্নয়নে কাজ করা। তাই মানুষ আজ বিজেপিকে বেছে নিচ্ছেন।
0 মন্তব্যসমূহ