Advertisement

Responsive Advertisement

খাদ্যে রাজ্যকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য সরকার কৃষি প্রযুক্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে


আগরতলা, ৩ফেব্রুয়ারী : সুদূর অতীতকাল থেকেই ভারতের অর্থনীতির ভিত্তি হচ্ছে কৃষি। যদিও এখন সারা বিশ্বের মধ্যে শিল্প ভিত্তিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে কৃষিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর জন্য এক দিকে যেমন উন্নত প্রযুক্তির অধিক ফলনশীল বীজ সার ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ড্রোন প্রযুক্তিকেও কাজে লাগানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষকদের সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি যোজনায় সারা দেশের কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি যোজনায় রাজ্যে ২০১৮-১৯ থেকে এখন পর্যন্ত ২,৪৬,৩৩৯ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন। সুবিধাভোগী এই কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫তম কিস্তি সহ ৬৪০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল নষ্ট হলেও যাতে কৃষকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা চালু করা হয়েছে। এই যোজনায় রাজ্যের ১২ লক্ষ ৪৬ হাজার কৃষকের জমি বীমার আওতায় এসেছে।
পাশাপাশি রাজ্যের কৃষকদের মধ্যে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৬০টি কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে কৃষকরা এখন পর্যন্ত ১,৬৪৯ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন। 
এক সময় ধান চাষ করে কৃষকরা লাভের মুখ দেখতেন না, তাই তারা ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ছিলেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বারের মতো কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার কাজ শুরু হয়। এখন নিয়মিত ভাবে ধান কেনা হচ্ছে। বছরে দুই বার ধান কেনা হচ্ছে। ২০২২-২৩ সালের খারিফ মরশুম পর্যন্ত রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ১.৭৫ লক্ষ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে।
সারা দেশে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি করা হয়েছে, যার ফলে অল্প সময় এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক কাজ করা যায়। সারা দেশের সঙ্গে সংগতি রেখে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে রাজ্যে ৩৭৫টি ফার্ম মেশিনারি ব্যাঙ্ক স্থাপন করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের আরো একটি পরিকল্পনা হলো কোন জমি পতিত রাখা যাবে না। যে জমিতে যা চাষ সম্ভব তা চাষ করতে হবে। সরকার সহায়তা করতে প্রস্তুত। রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনার জন্য নতুন নতুন জমি চাষের আওতায় আসছে। 
২০১৮-১৯ থেকে এখন পর্যন্ত ১৩,৩৯৪ হেক্টর জমি ফলচাষের আওতায় আনা হয়েছে। ১৮,৭৬৪ হেক্টর জমি সংকর জাতীয় সব্জি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ফল, সব্জি ও ফুলচাষের জন্য রাজ্যে ইন্দো-ইজরায়েল কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী তৈদুতে একটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স অন সিস্টাস স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই ভাবে সরকার কৃষিতে রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা তোলার জন্য একের পর এক কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তার ফলও পাওয়া শুরু করেছেন কৃষকরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ