Advertisement

Responsive Advertisement

এআরসি পদ্ধতির আলু চাষ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো আগরতলায়

আগরতলা, ২২ফেব্রুয়ারী : অ্যপিকেল রুট কাটিং তথা এআরসি পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা দিয়ে রাজ্যে আলু চাষ হচ্ছে। রাজ্যের আটটি জেলাতেই প্রথম বারের মতো এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা থেকে আলুর ব্যাপক ফলন হচ্ছে। এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষের জন্য দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর রাজধানীর লিমা শহরের ইন্টারন্যাশনাল পটাটো সেন্টারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের চুক্তি হয়েছে। তারা এই আলু চাষ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রযুক্তি রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অন্তর্গত উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগকে দিচ্ছে। নাগিছড়া এলাকার উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রে প্রাথমিক ভাবে চারা উৎপাদন করা হয়। তারপর পরবর্তী পর্যায়ে জেলায় জেলায় আগ্রহী চাষীদেরকে এই চারা দেওয়া হয়। এগুলো থেকে এখন ফলন হচ্ছে। এই আলু চাষের অন্তর্বর্তী সময়ে বিস্তারিত জানার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার নাগিছড়া উদ্যান ও বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রে এক পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের ডিরেক্টর ডঃ ফনি ভূষণ জামাতিয়া, ডেপুটি ডিরেক্টর ড: রাজীব ঘোষ সহ উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের অন্যান্য আধিকারিকরা।
ইন্টারন্যাশনাল পটাটো সেন্টারের তরফে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার ভারতের ম্যানেজার ড: রবীন্দ্রনাথ রেড্ডি, সংস্থা ত্রিপুরা এবং মেঘালয় রাজ্যের প্রজেক্ট ম্যানেজার ড: শ্রীধর রাও এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট স্পেশালিস্ট শ্রুতিকা কুহেলী। সেই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষি আধিকারিক এবং আলু চাষিরাও এসেছিলেন।
 মূলত রাজ্যে এআরসি'র কুফরি উদয়, কুফরি করল, কুফরি মোহন এবং কুফরি লিমা এই চার জাতের আলুর ফলন ব্যাপক হয়েছে। এক একটি গাছে বড় আকারের গড়ে দশটি করে আলু ধরছে। সংস্থার আধিকারিকরা জমিতে গিয়ে মাটি খুঁড়ে আলু গুলো দেখেছেন। রাজ্যে আলুর উৎপাদন এবং গঠন দেখে তারা সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেছেন। অন্যান্য আলুর তুলনায় এই আলু অনেক আগে জমি থেকে আবাদ করা সম্ভব হবে। এদিন বৈঠকে উপস্থিত চাষিরাও এই আলু চাষ করে সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। তারা জানিয়েছেন অন্যান্য বছরের তুলনায় তাদের আলুর ফলন বেশি হয়েছে এবং আর্থিক ভাবে বেশী লাভবান হবেন তারা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ