Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যের মৎস্যচাষীদের আত্মনির্ভর করে তোলা হচ্ছে, রাজ্যভিত্তিক মৎস্য উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ২ ফেব্রুয়ারি: মৎস্য উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে রাজ্যের মৎস্যচাষীদের আত্মনির্ভর করে তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পে তাদের মৎস্যচাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আজ আগরতলা পূর্বাশা কমপ্লেক্সের আরবান হাটে রাজ্যভিত্তিক মৎস্য উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মৎস্যচাষের এলাকা সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন জলাশয় সৃষ্টি করা হচ্ছে। রাজ্যে মাছের চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা মেটানোর জন্য বহিরাজ্য এবং বাংলাদেশ থেকেও মাছ আমদানি করতে হয়। ভবিষ্যতে এই ঘাটতি মেটাতে রাজ্যকে মৎস্যচাষে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন আগামীদিনে রাজ্য মৎস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।
              অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মৎস্য উৎসবের আসল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মৎস্যচাষকে জনপ্রিয় করা। মৎস্যচাষকে ভিত্তি করে গ্রামীণ এলাকায় যুবকদের আত্মনির্ভর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য দপ্তরের সাফল্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, রাজ্যে ৬৩ হাজার ৩৯৭ জন মৎস্যচাষীকে দপ্তরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক মৎস্যচাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এজন্য ৯৮৩ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। বিভিন্ন সমবায় সমিতি ও স্বসহায়ক দলগুলিকে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মৎস্যচাষে বিভিন্ন সহায়ক সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। তাছাড়াও রাজ্যের ৬১ হাজার ৭৬২ জন মৎস্যচাষীকে মৎস্যচাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যচাষের এলাকা সম্প্রসারণে প্রায় ১১৬ হেক্টর নতুন জলাশয় সৃষ্টি করা হয়েছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। বিজ্ঞানসম্মতভাবে মৎস্যচাষের জন্য প্রায় ৪ হাজার ৫৮১ জন মৎস্যচাষীকে বিভিন্ন ধরণের সহায়ক সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। উৎপাদিত মৎস্য বাজারজাত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় মৎস্যচাষীদের আইস বক্স সহ ত্রিচক্রযান দেওয়া হয়েছে। ডুম্বুর জলাশয়ে ২৬.৪০ লক্ষ মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে।
             অনুষ্ঠানে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, রাজ্যে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। রাজ্যে বছরে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার মেট্রিকটন মাছের চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা মেটানোর জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। রাজ্যে ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকুয়া পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য বিকাশ যোজনা চালু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে রাজ্যে মৎস্যচাষের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন জেলার মৎস্যচাষীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী ও অতিথিগণ তাদের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন। তাছাড়া সরকার পরিচালিত ৪টি মৎস্য খামার থেকে আগত প্রতিনিধিকে মৎস্য উৎপাদনে সাফল্যের জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্র। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য্য। উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, প্রাক্তন বিধায়ক ডা. দিলীপ কুমার দাস, মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা সন্তোষ দাস প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ