Advertisement

Responsive Advertisement

জনসচেতনতাই হচ্ছে এইডস রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায় : মুখ্যমন্ত্রী



আগরতলা, ১ ডিসেম্বর: জনসচেতনতাই হচ্ছে এইডস রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। তাই এইডস প্রতিরোধে প্রচারমূলক অভিযান নিয়মিত সংগঠিত করতে হবে। আজ উমাকান্ত একাডেমি প্রাঙ্গণে বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক সচেতনতামূলক র‍্যালির সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা একথা বলেন। ত্রিপুরা রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির উদ্যোগে ও ত্রিপুরা রাজ্য এনএসএস সেলের সহযোগিতায় আয়োজিত এই র‍্যালির সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবছরই ১ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন করা হয়। বিশ্ব এইডস দিবসের এবারের ভাবনা হল 'লেট কমিউনিটিস লিড'। অর্থাৎ এইডস রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেওয়া। এইডস রোগ মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। ফলে যারা এই রোগে আক্রান্ত হন তাদের পরিণতি ভয়াবহ হয়। তাই এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে সচেতন থাকতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত রাজ্যে মোট এইচআইভি / এইডস আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ৫,২৬৯ জন। এরমধ্যে মহিলার সংখ্যা ১,০২২ জন, পুরুষের সংখ্যা ৪,২৪৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন। এরমধ্যে ৫৭৫ জন ছাত্রছাত্রীও রয়েছে। এই বিষয়টি রাজ্যের জন্য অবশ্যই উদ্বেগের। এই রোগ প্রতিরোধে রাজ্য সরকার এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, কাউন্সেলিং ও টেস্টের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। কাউন্সেলিং এবং টেস্টিংয়ের জন্য রাজ্যের ২৪টি হাসপাতালে ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং সেন্টার রয়েছে। তাছাড়াও ১৩৩টি হাসপাতালে ফেসিলিটি ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং সেন্টার এবং ৩টি পিপিপি ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং সেন্টার রয়েছে। একটি ভ্রাম্যমান ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং ভ্যানও কাজ করছে। মা থেকে শিশুতে এইচআইভি / এইডস সংক্রমণ রোধে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও জিবিপি হাসপাতালে প্রিভেনশান অব পেরেন্ট টু চাইল্ড ট্রান্সমিশন সেন্টার (পিপিটিসিটি) চালু করা হয়েছে। এইডস রোগ সম্পর্কে রাজ্যের জনগণকে সচেতন করতে আজকের এই র‍্যালি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, এইডস রোগের সমস্যা শুধু আমাদের রাজ্যেই নয়, সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলেই এই সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এইডস রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে রাজ্যের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলিকেও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি আজকের দিনটিতে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক সহ সকলকেই এইডস মুক্ত রাজ্য গঠন করার সংকল্প নিতে হবে।

২-এর পাতায়

অনুষ্ঠানে রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার বলেন, বর্তমান সময়ে শিরাপথে সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক গ্রহণের ফলে এইডস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের সকলকেই যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। যুব সমাজকে মানব সম্পদ হিসেবে দেশের কাজে লাগানোর জন্য তাদের এই রোগের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব সদীপ আর রাঠোর, ত্রিপুরা হেলথ সার্ভিসের অধিকর্তা ডাঃ সুপ্রিয় মল্লিক, ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মা, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধ অধিকারের অধিকর্তা ডা: অঞ্জন দাস এবং ত্রিপুরা রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির প্রকল্প অধিকর্তা ডা: অনুরাধা মজুমদার। আজকের এই র্যালিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা সহ অন্যান্য অতিথিগণ এবং বিভিন্ন মহাবিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের এনএসএস ইউনিটের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ