Advertisement

Responsive Advertisement

বিএমএস'র তৃতীয় দ্বী-বার্ষিক রাজ্য সন্মেলন উপলক্ষে আগরতলায় প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত


আগরতলা, ২৩ ডিসেম্বর : ভারতীয় মজদুর সংঘের তৃতীয় দ্বী-বার্ষিক ত্রিপুরা রাজ্য সন্মেলন চলছে আগরতলায়। দুদিন ব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়েছে শনিবার। এই উপলক্ষে প্রথম দিন রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এদিন প্রথমে সংঘঠনের সদস্য-সদস্যারা মিছিল করে বটতলা থেকে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গনে আসেন এরপর সমাবেশ শুরু হয়। 
 এদিনের এই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা, শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৭৭ বছর পর ত্রিপুরা রাজ্য সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। ১৯৬৪ সালের ধর্মনগর শহর পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে, ধর্মনগর থেকে রেলপথে কুমারঘাট'র দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার, এই রাস্তাটুকু পূর্ণ করে রেল আসতে সময় নিয়েছে ২৫ বছর। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর বদরপুর থেকে সাবরুম পর্যন্ত ৩৫০কিমি ব্রডগেজ রেল পরিষেবা চালু করা হয়েছে। উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হচ্ছে এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। আগে যেখানে ৬ ঘন্টা লাগতো ধর্মনগর থেকে আগরতলা আসতে এখন মাত্র আড়াই ঘণ্টায় আসা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমান সরকার মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। দীর্ঘ বছর শ্রমিক দরদী সরকার ছিল রাজ্যে। মুখে তারা নিজেদের শ্রমিক দরদী বললেও বাস্তবে তারা মানুষের কল্যাণে বিশেষ করে শ্রমিকদের কল্যাণে কোন কাজ করেনি। তাদের শ্রমিক সংগঠনগুলোর স্লোগান ছিল লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই। রাজ্যের সবচেয়ে পুরাতনশিল্প হচ্ছে চাষ শিল্প, যার বয়স ১০০ বছরের বেশি। এই শিল্পে কাজের জন্য ঝাড়খন্ড উড়িষ্যা সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হতো, দীর্ঘ বছর এই শ্রমিকরা এখানে কাজ করলেও তাদের কল্যাণে কোন কিছু করেনি পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার, তাদের এক টুকরো জমিও দিতে পারেনি, কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাদের জমির বন্দোবস্ত করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে ২,১০০ পরিবারকে জমি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাকি পরিবারগুলোকেও জমি দেওয়া হবে। বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণে কাজ করছে বলে জানান তিনি। ঠিক একইভাবে অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কারদের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নির্মাণ শ্রমিকদের যেখানে এক্সিডেন্ট বেনিফিট ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লক্ষ টাকা করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য যেখানে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হতো সর্বোচ্চ তা বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। আগে বাংলাদেশ থেকে শুধু ইমপোর্ট হত এখন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আড়াইশো কোটি টাকার সামগ্রী এক্সপোর্ট হয়েছে। কিভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য রাজ্য এগিয়ে যাচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। 
এদিনের এই সমাবেশে আগরতলার পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জায়গা থেকেও সংগঠনের সদস্যরা শামিল হয়েছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ