Advertisement

Responsive Advertisement

কর্মচারীদের বকেয়া ২২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার আহবান জানালো গেজেটেড অফিসার্স সংঘ


আগরতলা, ২৪ আগস্ট : কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে বর্তমানে রাজ্য সরকারের ২২ শতাংশ মহার্ঘভাতার ব্যবধান রয়েছে এই ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে গেজেটেড অফিসার্স সংঘ তথা জিওএস। 
সংগঠনের ত্রিপুরা প্রদেশ'র পক্ষ থেকে এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও সরকারের মূখ্যসচিবের উদ্দ্যেশ্যে ছয় দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। রবিবার রাজধানী আগরতলার কৃষ্ণনগর এলাকার সংগঠনের অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি তপন দাস, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ রায়, অফিস সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার সুমন্ত নন্দী, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি উত্তম কুমার দেবনাথ, স্টেট কমিটির মেম্বার হারাধন ধর সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। 
এদিন সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ রায় বলেন, গেজেটেড অফিসার্স সংঘ ত্রিপুরা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত একটি সার্ভিস এসোসিয়েশন হিসেবে এই রাজ্যের জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে এবং বিভিন্ন বিভাগের অফিসার্স, কর্মচারী ও সাধারণের কল্যাণের জন্য সরকারের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ, প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি সাড়া প্রদানকারী সহযোগিতার নীতি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জি.ও.এস ২০১৬ সাল থেকে এই রাজ্যের জনগণের পাশাপাশি অফিসার্স, প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক ও কর্মচারী সহ আসংগঠিত অংশের জনগণের সেবায় নিয়মিত কাজ করে চলেছে। বর্তমানে, জি.ও.এস এই সংগঠনে টি.সি.এস অফিসারস, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রধান শিক্ষক এবং ত্রিপুরা সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন বিভাগের অন্যান্য গেজেটেড অফিসার সহ ১,৫০০ এর অধিক সদস্য-অফিসার রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট জি ও এস এর পক্ষ থেকে  মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও সরকারের মূখ্যসচিবকে ছয় দাবি সনদ নিয়ে উনাদের অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয় যে, প্রফেসর ড. মানিক সাহা জি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়কালে ২৯ মাসে ২৯শতাংশ ডি.এ এবং ডি.আর প্রদানের সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। এতে রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজের প্রতি অফিসার্স সহ শিক্ষক কর্মচারীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা আমাদের রাজ্যের "অন্তিম ব্যক্তি"-এর কাছে সরকারী প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেয়।
সংঘের পক্ষ থেকে একই দিনে মূখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের কাছে দাবী করা হয়। এগুলি হলো, অ্যাড-হক পদোন্নতিকে নিয়মিত পদোন্নতি হিসাবে ঘোষণা করা এবং অ্যাড-হক পদোন্নতিপ্রাপ্তদের পেনশন সুবিধা প্রদান করা। অফিসার্স, শিক্ষক- কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের জন্য সকল সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৮ম বেতন কমিশন অতিসত্তর গঠন করা।কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের সমতুল্য বকেয়া ২২% মহার্ঘ ভাতা এবং মহার্ঘ ত্রাণ দ্রুত প্রদান করা, যা কার্যকর করার দাবী রাখা হয় ১ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে, যাতে বৈষম্য অনেকটা দূর হয়। যেহেতু সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪০ বছর রয়েছে, সেহেতু বর্তমানে ২৫ বছরের পরিবর্তে ২০ বছর একটানা চাকরি সম্পন্ন করার পর রাজ্যের সকল কর্মচারীদের কে সম্পূর্ণ পেনশন সুবিধা প্রদানের বিধান চালু করা। রাজ্যের হাজার হাজার বেকার চাকরি প্রত্যাশীদের চাহিদা পূরণ এবং নাগরিকদের কল্যাণে সরকারি নীতি পরিকল্পনাগুলো সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগের মধ্য দিয়ে শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ করা। ডি. আর. ডব্লিউ গ্রুপ-ডি কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ:
জানা যায় যে, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই তারিখের মেমোটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজ্য পি.এস.ইউ এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যার মধ্যে এ.এম.সি/এন.পি অন্তর্ভুক্ত, তাদের ডি.আর. ডব্লিউ/ক্যাজুয়াল/কন্টিনজেন্ট/পি.টি.ডব্লিউ ইত্যাদি কর্মীদের নিয়মিতকরণের বিষয়ক পূর্বের নিয়ম বাতিল করার ফলে উপরে উল্লেখিত কর্মচারীরা নিয়মিত হতে পারেনি। অর্থ দপ্তরের অনুমোদন সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় পি.এস.ইউ এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যার মধ্যে এ.এম.সি/এন.পি অন্তর্ভুক্ত, তাদের ডি.আর. ডব্লিউ/ক্যাজুয়াল/কন্টিনজেন্ট/পি.টি.ডব্লিউ ইত্যাদি কর্মীদের চাকুরী নিয়মিতকরণের বিষয়ে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই তারিখের এফ.ডি মেমো প্রত্যাহারের জন্য বিনীত অনুরোধ করা হয়েছে বলেও এদিন জানানো হয়।
সেই সঙ্গে আরো বলা হয়, জানা যায় যে, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই তারিখের মেমোটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজ্য পি.এস.ইউ এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যার মধ্যে এ.এম.সি/এন.পি অন্তর্ভুক্ত, তাদের ডি.আর.ডব্লিউ/ক্যাজুয়াল/কন্টিনজেন্ট/পি.টি.ডব্লিউ ইত্যাদি কর্মীদের নিয়মিতকরণের বিষয়ক পূর্বের নিয়ম বাতিল করার ফলে উপরে উল্লেখিত কর্মচারীরা নিয়মিত হতে পারেনি। অর্থ দপ্তরের অনুমোদন সহ নিয়োগপ্রাপ্ত এই স্তরের কর্মচারীদের গ্রুপ ডিনিয়মিত করনের অনুরোধ রাখা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ