Advertisement

Responsive Advertisement

বামেদের কুৎসার জবাব দিলেন প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য

আগরতলা, ১০জুন : রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে বাম নেতাদের কুৎসার জবাব দিলেন প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচাৰ্য। প্রতিদিনই একটু একটু করে শূন্যের দিকে যাচ্ছে বামফ্রন্ট। আগে যে গ্রামীণ ও জনজাতি মানুষ তাদের মূল ভিত্তি ছিল এখন তারাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং বিজেপির হাত দিন দিন মজবুত কিরছেন। তা খুব ভালো জানেন বাম নেতারা। এই পরিস্থিতে ঘরে বসে অতীত স্মৃতি রুমন্থন করেই দিন যাপন করছেন। এভাবের দীর্ঘ দিন ঘরে বসে থাকার পর শরীরের জড়তা চলে আসায় তা কাটাতে এবং খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থার বাস্তব ছবি দেখতে সম্প্রতি মানিক বাবু রাজ্যের কয়েকটি গ্রামীণ ও পাহাড়ী এলাকার পরিদর্শনে যান। ফিরে এসে সংবাদ শিরোনাম নামে আসার উদ্দেশে গালগল্প শুনান, তিনি আগের রেকর্ড বাজিয়ে বলেন রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ে নাকি কাজ ও খাদ্যর অভাব চলছে। তার এই কথার জবাব তথ্যের পসরা দিয়ে তোলে ধরেন নবেন্দু ভট্টাচাৰ্য। শনিবার প্রদেশ বিজেপি ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, রাজ্যে বর্তমানে কোন ধরণের খাদ্য সংকট নেই। রাজ্যের প্রতিটি রেশনের এমনকি একেবারে প্রান্তিক এলাকার রেশন গুলিতে পর্যাপ্ত খাদ্য রয়েছে। এমনকি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশী রয়েছে। তারা যদি শুনিদৃষ্ট এলাকার নাম এবং রেশন শপের নাম্বার দিয়ে এই অভিযোগ করতেন তবে খোঁজ নিতে সুবিধা হতো।
নবেন্দু ভট্টাচাৰ্য আরো বলেন, বাম নেতাদের গন্ডাছড়া যাওয়ার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে। এই ভিডিও গুলিতে দেখা যায় কোন মানুষ তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। তবে তারা কি করে বুঝলেন মানুষের খাবারের অভাব রয়েছে। শুধুমাত্র মানুষদের বিভ্রান্ত করার জন্য এসব কথা বলছেন। একটি সময় এডিসির ২৮টি আসনেই তারা ছিলেন মানুষ তাদের বর্জন করেছেন এখন একটি আসনেও তাদের ক্ষমতা নেই। এর পরও তারা এসব বলছেন। যারা গাঁজাসহ অবৈধ ব্যবসা করতেন ও যারা এই সব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রসদ সংগ্রহণ করে নিজেদের ও তাদের দলীয় কার্যালয় বড় করতেন তাদের এখন কাজ ও খাদ্য নেই। তাদের এইসব কাজের সংস্থান আর হবে না কারণ এখন বিজেপি সরকার রয়েছে। ফলে হয়তো তারা এখন খাদ্যের অভাব বোধ করছেন। তবে রাজ্যের সাধারণ মানুষ অভাবের মধ্যে নয়। তাদের সময় মানুষ অভাবের জন্য সন্তান বিক্রি করতেও বাধ্য হতেন বলে জানান।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন বিরোধী দল নেতা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবদার করে ছিলেন তার বড় সরকারী বাসভবন যেন আবারো বরাদ্দ করা হয়। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তার এই আবদার মেনে বড় বাংলো বরাদ্দ করা হয়। এরপরও তাদের মধ্যে কোন সদর্থক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা ছিলেন মানুষ এখান থেকেও তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছে। আগে জলের সংকট ছিল, ডায়রিয়া আন্ত্রিক ইত্যাদি রোগের কারণে কাতারে মানুষ মারা যেতো। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতিনিধি এসে তখন তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে চলার। এখন এই অবস্থা উন্নতি হয়েছে। পানীয় জলের সমস্যা নেই।
সেই সঙ্গে তিনি মথা প্রসঙ্গ টেনে বলেন খুমলুং সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির উপর আক্রমণ সংঘঠিত করা হচ্ছে। তবে বিজেপি এসব প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে। তবে বিজেপি এ ধরনের আচরণে বিশ্বাসী নয়। তাই দলের কর্মকর্তাদের বলে রাখা হয়েছে কোন ধরনের সমস্যা হলে তারা যেন পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নেয়। এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখপাত্রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সহ-সভানেত্রী উত্তরা দেববর্মা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ