Advertisement

Responsive Advertisement

২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশ করল বামফ্রন্ট


আগরতলা, ৩ফেব্রুয়ারী: অন্যান্য দলকে পিছনে ফেলে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করল ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্ট। শক্রবার আগরতলার মেলারমাঠ এলাকার সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয় দশরথ দেব ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এই ইশতেহার প্রকাশ করেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। 
১৫ পাতার এই ইশতেহারে রয়েছে বেশ কিছু চমক। 
এইদিন ইশতেহার প্রকাশ করে বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার দুঃশাসন চালাচ্ছে। একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েমের লক্ষ্যে ফ্যাসিস্টসুলভ সন্ত্রাস চালাচ্ছে। গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। নাগরিক স্বাধীনতা হরণ করেছে। স্বাধীনভাবে ভোট দেবার অধিকার বলপূর্বক ছিনিয়ে নিচ্ছে। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা পদদলিত করছে। ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ ধ্বংস করছে। স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণ ও সামাজিক কার্যক্রমে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে। উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদকে শুকিয়ে মারছে। উপজাতি, তপশিলি, ও বি সি এবং সংখ্যালঘুদের অর্থনৈতিক অধিকার ও সুযোগ সুবিধা হরণ করছে। ত্রিপুরাকে নেশার সাগরে ডুবিয়ে রাখবার খেলায় মেতেছে। মা-বোনদের বিরুদ্ধে অপরাধ বাড়ছে ও বীভৎস চেহারা নিচ্ছে। আইনের শাসনকে সংহার করে জঙ্গলের শাসন কায়েম করেছে। দেশের সংবিধানকে অচল করে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮-তে দেওয়া নিজেদের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিকে বি জে পি প্রহসন ও মিথ্যায় প্রতিপন্ন করেছে। মানুষের কাঁধে প্রতিনিয়ত কর ও রাজস্বের বোঝা চাপিয়ে চলেছে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধি নিত্যদিনের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কুটির-ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পসহ ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দায় আক্রান্ত। কৃষি ও কৃষক সংকটাপন্ন। মানুষের কাজ-উপার্জন-ক্রয়ক্ষমতা তলানিতে নেমে এসেছে। অর্ধাহার- অনাহার-অনাহার মৃত্যু - সন্তান বিক্রির ঘটনা ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন বামফ্রন্ট পার্টির সরকার ক্ষমতায় আসলে যে সকল পরিবার মাসে ৫০ ইউনিটের কম বিদ্যুৎ ভোগ করেন, সরকার সেই সকল পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যয় বহন করবে। ছাঁটাই করে দেওয়া ১০,৩২৩ শিক্ষকদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। প্রয়াত ও ছাঁটাইকৃত শিক্ষক পরিবারকে সাহায্য করা হবে। অন্যায় ভাবে ছাঁটাই করে দেওয়া সরকারি কর্মচারীদের চাকরিতে পূর্ণ বহন করা হবে। পুরানো পেনশন প্রথা পুনরায় বহাল করা হবে এবং বছরের দুইবার মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা হবে।
ত্রিপুরাতে এইমস'র মত একটি হাসপাতাল স্থাপনের জন্য সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। রাজনৈতিক সন্ত্রাসে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সমূহের পাশে সরকার সাহায্যের হাত নিয়ে দাঁড়াবে। ষষ্ঠ তপশিলি মোতাবেক গঠিত ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা সুশাসিত জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। সংবিধান সংশোধন করে ওবিসিদের শিক্ষা চাকরি ও পদোন্নতিতে সংরক্ষণের সুযোগ প্রদানে উদ্যোগ নেওয়া হবে ইত্যাদি।
এদিনের এই কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ অন্যান্য শরিক দলের রাজ্য নেতৃবৃন্দ।  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ