আগরতলা, ফেব্রুয়ারী ০৪ : ২০১৮ সালের মার্চ এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারির বেতনভাতা কাঠামোর তুলনামূলক বিন্যাস দেখলে সুস্পষ্ট হয় যে পাঁচ বছরের দীর্ঘ বিজেপি শাসনে প্রধান লাভ্যার্থী রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা।
বিগত দিনে কর্মচারীদের আর্থিক সমস্যাগুলোকে একটি মার্মিক ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা পরপর দুই কিস্তি, পাঁচ শতাংশ এবং বার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা মঞ্জুর করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীদের বেতন ৩৭ থেকে ৯৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
অনিয়মিত কর্মীদের জন্য সবচেয়ে রেকর্ড বৃদ্ধি করা হয়েছে যারা প্রতি মাসে ৫,১৫০টাকা পেতেন এখন তা বেড়ে ১০০০০ টাকা হয়েছে।
গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে, তারা ২৩,১৫০ টাকা পেতেন যা এখন ৩১,৭০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গ্রুপ সি কর্মচারীদের জন্য, বেতন ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে যার ফলে যারা প্রতি মাসে ৩৪,৬০০ টাকা পেতেন তারা এখন এখন ৫০,২০০ টাকা পাচ্ছেন । একইভাবে, গ্রুপ বি কর্মীদের বেতনও ৫৮,৬০০ টাকা থেকে বেড়ে ৮৯,১৮০ টাকা হয়েছে।
গ্রুপ এ অফিসাররা যারা এক লাখ টাকার নিচে পেতেন তারা এখন প্রতি মাসে ১,৩৩,৭০০ টাকা করে বেতন পাচ্ছেন।
তুলনাটি স্পষ্ট করে যে ডঃ মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক অবস্থার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তা ছাড়া ডাঃ সাহা দায়িত্ব গ্রহনের সাথে সাথে সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টিকারী কিছু বহুবছর পুরোনো সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। উদাহরণস্বরূপ, রাজ্য সরকারী হাসপাতালে সেবারত ডাক্তারদের জন্য পৃথক গ্রেড তৈরি করার ডাঃ সাহার পদ্ধতির ভুয়সী প্রশংসা করেছেন।
এখানে উল্লেখ্য ত্রিপুরায় মোট ১.৮৮ লক্ষ সরকারি কর্মচারী রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ