Advertisement

Responsive Advertisement

পরিসংখ্যান বলছে একাংশ শিক্ষিত মহিলাদের দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে





দেহ ব্যবসা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একটি ভিন্ন প্রবণতা চোখে পড়ছে। উচ্চশিক্ষিত, ভালো পেশায় জড়িত অনেক মহিলা ধীরে ধীরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ যেন নীরব অথচ ক্রমবর্ধমান এক বাস্তবতা, যা সমাজের ভেতরে ভেতরে বড় সংকেত বহন করছে।

সংখ্যার বৃদ্ধি
যদিও সরকারি পরিসংখ্যান এই বিষয়ে স্পষ্ট নয়, কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক গবেষণা ও অপরাধ দমন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক দশকে শিক্ষিত ও স্বনির্ভর নারীদের দেহ ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার ঘটনা ২০-২৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। একসময় এই পেশায় মূলত দরিদ্র ও শিক্ষাহীন মহিলাদের উপস্থিতি বেশি ছিল। এখন শহুরে এলাকায়, বিশেষ করে মেট্রো সিটি ও বড় বড় আইটি হাবগুলিতে উচ্চশিক্ষিত ও অফিসে কর্মরত মহিলাদের নামও উঠে আসছে।

কেন জড়িয়ে পড়ছেন শিক্ষিত মহিলারা?

১. অর্থনৈতিক চাপ:
চাকরি বা ব্যবসায়ে ভালো অবস্থানে থেকেও অনেক সময় জীবনযাত্রার মান বজায় রাখা, ঋণের বোঝা বা বিলাসিতার চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয়। দেহ ব্যবসা সেখানে দ্রুত অর্থ উপার্জনের এক সহজ পথ হিসেবে ধরা পড়ে।

২. জীবনযাত্রার প্রতিযোগিতা:
বড় শহরের লাইফস্টাইল, ব্যয়বহুল ফ্ল্যাট, ব্র্যান্ডেড পোশাক, বিদেশ ভ্রমণ—এসবের পেছনে দৌড়াতে গিয়ে অনেকে বিকল্প আয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।

৩. সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার পরিবর্তন:
আগে দেহ ব্যবসাকে সমাজের চোখে একেবারেই নিষিদ্ধ মনে করা হতো। কিন্তু বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে এটিকে “স্মার্ট ও শর্টকাট” আয়ের পথ বলে মনে করছেন কিছু তরুণী।

৪. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রভাব:
সোশ্যাল মিডিয়া, ডেটিং অ্যাপ বা অনলাইন এস্কর্ট সার্ভিসের মাধ্যমে এখন এই পেশায় যুক্ত হওয়া অনেক সহজ। পরিচয় গোপন রাখা যায় বলে শিক্ষিত মহিলারা এ পথে আগ্রহী হচ্ছেন।

৫. সম্পর্কের ভাঙন ও মানসিক চাপ:
বিবাহিত জীবনের টানাপোড়েন, একাকিত্ব কিংবা মানসিক হতাশাও অনেককে দেহ ব্যবসার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

সমাজে এর প্রভাব
এ প্রবণতা নিঃসন্দেহে সমাজে এক নতুন সংকেত দিচ্ছে। একদিকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও শিক্ষার প্রসার ঘটছে, অন্যদিকে সেই স্বাধীনতার মাঝেই অনেক নারী এমন পথে হাঁটছেন যা সমাজ এখনো সম্পূর্ণভাবে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়।
শিক্ষিত মহিলারা দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে শুধু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা যাবে না। এর পেছনে রয়েছে অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক চাপ, দ্রুত ধনী হওয়ার প্রবণতা এবং মানসিক অস্থিরতা। সংখ্যার দিক থেকে দিন দিন এই প্রবণতা বাড়ছে, যা সমাজবিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলছে।

সম্পত্তির শহরের কয়েক জন বন্ধুদের একটি গ্রুপ আড্ডায় বসে এই বিষয়ে ওই বিষয়ে নিয়ে কথা বলার সময় শিক্ষিত মহিলাদের দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তখন এক বন্ধু উদ্বেগের সঙ্গে জানায় শহরের এক শিক্ষিত মহিলা তাকে লম্বা চওড়া মেসেজ করেছে। এই কথা শোনার পর আরো এক বন্ধু অজানায় যে তাকেও এমন একজন মেসেজ করেছে। আড্ডার প্রায় সব বন্ধুরাই জানায় তাদের কাছে নিজের দুঃখ কষ্ট ও সহানুভূতি মূলক মেসেজ এসেছে। কৌতুহল বসত একে অপরকে যখন মেসেজটি দেখাতে থাকে দেখা যায় একই মেসেজ তাদেরকে পাঠানো হয়েছে এবং একই নাম্বার থেকে এই মেসেজ এসেছে। তখন তাদের মধ্য থেকে এক বন্ধু জানায় সে যখন এই মেসেজের উত্তর দিতে শুরু করে ধীরে ধীরে ওই মহিলার কাছ থেকে বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে খোলামেলা হওয়ার প্রস্তাব আসছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ কর যে যাদেরকে এই মেসেজ পাঠানো হয়েছে তাদের সকলেই উচ্চ আয়ের লোক এবং কয়েকজন এ গ্রেড অফিসার। 
এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যোগে খুব সহজে পুরুষের দিকে আঙ্গুল তোলা হয় যে, পুরুষরা মহিলাদেরকে সামাজিক মাধ্যমে প্ররোচনা মূলক প্রস্তাব এবং উত্ত্যক্ত করে থাকে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে একাংশ মহিলাদের উচ্চা বিলাস কিভাবে অন্ধকার গলিতে ঠেলে দিচ্ছে। তবে এইসব মহিলাদের দৃষ্টিতে নিশ্চয় এটা স্বাভাবিক ঘটনা, তাই বলেই তো তারা অবলীলায় এই সমস্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শিকার হিসেবে ধরে নিচ্ছে উচ্চশিক্ষিত এবং উচ্চ রোজগারওয়ালা পুরুষদেরকে।  

( ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত তথ্য)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ