আগরতলা, ১০ জুলাই : গুরু পূর্ণিমার পূর্ণ লগ্নে নিজের আরাধ্য দেবতা ভগবান রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং মঠ চৌমুহনীস্হিত রামকৃষ্ণ আশ্রমের স্বামী অমর্ত্যানন্দ মহারাজজীর সান্নিধ্য আশীর্বাদ নিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজিব ভট্টাচার্য। শ্রী ভট্টাচার্যের সাথে ছিলেন বিজেপির ৯ বনমালীপুর মন্ডলের কর্মকর্তাগণ।
বৃহস্পতিবার শুভ গুরু পূর্ণিমা। এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস। হিন্দু ধর্ম অনুসারে মহর্ষি বেদব্যাস কে আদিগুরু বলা হয়। এই গুরু পূর্ণিমাকে অনেকেই ব্যাস পূর্ণিমাও বলে থাকেন ।গুরুকে শ্রদ্ধা নিবেদন করার দিন হলো এই গুরু পূর্ণিমা। প্রতিবছরের মতোই এবারও দেশব্যাপী এই গুরু পূর্ণিমা দিনটিকে সাড়ম্বরে পালন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্যে এই উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই বৃহস্পতিবার সকালে বনমালী পুর মন্ডলের কার্যকর্তাদের সাথে নিয়ে মঠ চৌমুহনীস্হিত রামকৃষ্ণ আশ্রমে যান প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজিব ভট্টাচার্য। তিনি মন্দিরে পুজো দিয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। পরে আশ্রমের পরম শ্রদ্ধেয় স্বামী অমর্ত্যানন্দ মহারাজজীর সান্নিধ্য ও আশীর্বাদ গ্রহণ করেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমরা শুধু রাজনীতি করি না। সামাজিক এবং ধর্মীয় কাজ ও করে থাকি। সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশক্রমে আজকের এই দিনে গুরু শিষ্য পরম্পরা যে সনাতন সংস্কৃতির এক মহান ও প্রাচীন ঐতিহ্য তা তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছি ।এই অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবেই এদিন রামকৃষ্ণ আশ্রমে তার আশা বলে জানান সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সান্নিধ্য ও আশীর্বাদ লাভের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিজেপি নেতৃবৃন্দ ।এদিন অনেক রাজ্য নেতারাই এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি যান এবং তাদের প্রণাম করে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।
0 মন্তব্যসমূহ