Advertisement

Responsive Advertisement

গণতন্ত্রকে রক্ষা ও সংবিধানকে সম্মান প্রদর্শন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিখতে হবে: মুখ্যমন্ত্রী



আগরতলা, ২৫ জুন: জরুরি অবস্থার দীর্ঘ ২১ মাস সারা ভারতবর্ষে একটা অসহনীয় অবস্থা ছিল। এই সম্পর্কে সকলের অবগত হওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এমন কালো দিন যাতে আর কোনদিন ফিরে না আসে। গণতন্ত্রকে রক্ষা করা এবং সংবিধানকে সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। 

আজ আগরতলার সুকান্ত একডেমিতে ভারতীয় জনতা পার্টি যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত মক পার্লামেন্ট অন ডার্ক ডেইজ শীর্ষক অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
                                অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন যুব সম্প্রদায় থেকে এমন সব ব্যক্তিদের ভারতীয় জনতা পার্টিতে নিয়ে আসা উচিত যাদের পরিবার কোনদিন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এতে মেধা সম্পন্ন যুবদের তুলে আনা যাবে যারা দেশ ও রাজ্যের জন্য কিছু দিতে পারে। তৎকালীন সময়ে সিপিএমের ৩৫ বছর এবং কংগ্রেস ও জোট জমানায় রাজনীতিতে একটা অস্থির পরিবেশ বিরাজ করেছিল। কিন্তু আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার ত্রিপুরায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সুস্থিতি ফিরে আসে। প্রায় ১৩ বছর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে কীভাবে দেশ চালাতে হয় সেটা করে দেখিয়েছেন তিনি। তাঁকে অনুসরণ করে এখন দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে প্রায় ২০টি রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার চলছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ও পণ্ডিত দীন দয়ালের চিন্তাভাবনাকে সামনে রেখে আমরাও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। 
                                     মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যুবক যুবতীরা অনেক সংখ্যায় ভারতীয় জনতা পার্টিতে সামিল হচ্ছে। তাদের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করতে হবে। গণতন্ত্র সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে হবে। এখনকার প্রজন্ম ইমার্জেন্সি পিরিয়ড (জরুরি অবস্থার সময়) সম্পর্কে তেমন একটা অবগত নয়। কাজেই তাদের এই ইতিহাস সম্পর্কে অবশ্য জানা থাকা প্রয়োজন। আজ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মক পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি আশা করি এধরণের আয়োজনে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আগামীদিনে তারা সংসদীয় রাজনীতির ধ্যান ধারণা সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

ডাঃ সাহা আরো বলেন, ভারতের ইতিহাসে ১৯৭৫ এর ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ এর ২১ মার্চ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২১ মাস একটা কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। আর এখন প্রায়ই দেখা যায় কংগ্রেস ও কমিউনিস্টরা রাস্তায় বেরিয়ে বলে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র কিভাবে রক্ষা করতে হয় এবং সংবিধানকে কিভাবে সম্মান করতে হয় সেটা আমাদের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ও ৩৫ এ ধারা বিলোপ করা নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। তখনকার সময়ে এবিষয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। অখণ্ড ভারতের কথা বলেছিলেন তিনি। দেশের জন্য জীবন বলিদান দিয়েছিলেন তিনি। তাই সুদীর্ঘ বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ধারা অবলুপ্ত করেছেন। সংবিধানকে ঠিক রাখা ও মর্যাদা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করছে। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। সারা ভারতবর্ষে রেল ধর্মঘট করা হয়েছিল। আমাদের নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি থেকে শুরু করে জয় প্রকাশ সহ আরএসএস, জনসংঘের নেতাদের ধরে ধরে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেসময়। কি এক অসহনীয় অবস্থা হয়েছিল গোটা দেশে। তাই এসকল ঘটনাবলী সম্পর্কে সকলের জানা উচিত। ভবিষ্যতে যেন এমন কালো দিন আর ফিরে না আসে। 

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, প্রদেশ সহ-সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সুশান্ত দেব, সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ